বড়ঞা : মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় বিডিও অফিসেই আক্রান্ত কংগ্রেস ! প্রতীক জমা দিতে গিয়ে পুলিশের সামনেই হামলার মুখে পড়ে তারা ! পুলিশের সামনেই হামলায় মাথা ফাটে কংগ্রেস কর্মীর। ঘটনায় অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করছে রাজ্যের শাসকদল।


হাইকোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টেও মুখ পুড়েছে কমিশন-রাজ্যের। গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই পঞ্চায়েত ভোট করাতে হবে।ধোপে টেকেনি কমিশন-রাজ্যের মরিয়া চেষ্টা, আর্জি খারিজ হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। 'স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সেই নির্দেশে হস্তক্ষেপ করতে আমরা আগ্রহী নই।' রাজ্য-কমিশনের এসএলপি খারিজ করে জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। 


এদিকে বিরোধীদের বারংবার অভিযোগ সত্ত্বেও, পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে হিংসা অব্যাহত রয়েছে। যেমনটা আজও দেখা গেল বড়ঞায় বিডিও অফিসে। সেখানে পুলিশের সামনেই আক্রান্ত হল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, এই জেলাতেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের ধারা অব্যাহত! ২০১৮-র পর ফের ২০২৩, মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ দু'নম্বর ব্লকে এবারও পঞ্চায়েত ভোটে অব্যাহত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের ধারা ! ভোটের আগেই দু'টি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী হয়ে গেছে তৃণমূল !


শনিবার পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পত্রের স্ক্রুটিনি শেষ হতেই অকাল হোলিতে মাতেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা! জয়ের উল্লাসে চলে আবির খেলা। রঘুনাথগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের গিরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৪টি আসনের একটিতেও তৃণমূল বাদে অন্য কোনও দল প্রার্থী দিতে পারেনি। সেকেন্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫টি আসনের মধ্যে ১৬টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেছে শাসকদল। ফলে ভোটের আগেই এই গ্রাম পঞ্চায়েতেও দখল নিয়েছে তৃণমূল ! এখনও মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়নি।


এই ঘটনায় তৃণমূলের সন্ত্রাসকেই দায়ী করেছে কংগ্রেস।  প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, 'সন্ত্রাস করেছে। পারছে না আমাদের লোকেরা কোথাও পেরেছে, আবার কোথাও পারিনি আমরা। যেখানে যেখানে রুখতে পারিনি, সেখানে সেখানে লুঠ হয়ে গেছে, মানে ভয়ে কেউ এগোতে পারেনি। রঘুনাথগঞ্জে যেমন ঘটনা ঘটেছে সেকেন্দ্রা গিরিয়া, জানি আমরা। কারণ সেখানটায় পারেনি আমাদের লোকেরা। সব জায়গায় তো সঙ্ঘবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারিনি আমরা। যেখানে যেখানে পেরেছি, সেখানে সেখানে লড়ছি।'


বিরোধীদের অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। গিরিয়া ও সেকেন্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েতে পরপর দু'বার তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতলেও, এখানে কিন্তু বিনা লড়াইয়ে জয়ের ট্র্যাডিশন রয়েছে। বাম আমলে ২০০৮ সালে এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল কংগ্রেস। তৃণমূল জমানায় ২০১৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনেও, এই ফলাফলের হেরফের হয়নি! কিন্তু ২০১৮-তে এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েত কংগ্রেসের থেকে ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল ! তবে জয় আসে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই!