রাজীব চৌধুরী , মুর্শিদাবাদ : জলপাইগুড়ির মাল নদীতে হড়পা বানে ভেসে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। জলপাইগুড়ি থেকে প্রায় চারশো কিলোমিটার দূরে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জেও দুর্গাপুজোর বিসর্জনে সামনে এল ঢিলেঢালা নিরাপত্তার ছবি।
বাজছে ডিজে, হেলছে নৌকো
বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেল, বিসর্জনকে কেন্দ্র করে রঘুনাথগঞ্জে ভাগীরথীর দু’পাড়ে ভিড় জমিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। নৌকায় ডিজে বাজিয়ে হয় উদ্দাম নাচ। নাচের চোটে একদিকে হেলে যায় নৌকো।
শ্মশান কালী বিসর্জনেও নিয়ম-না-মানা উচ্ছ্বাস
বীরভূমের দুবরাজপুরে শ্মশান কালী বিসর্জনেরও একই ছবি। হাজার হাজার মানুষের ভিড়। অভিযোগ, পুকুরে বিসর্জনের সময় ভিড় নিয়ন্ত্রণে ছিল না পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ।
জলপাইগুড়ির আতঙ্কের হড়পা
দুর্গাপুজোর বিসর্জনে জলপাইগুড়িতে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে দশমীতে। হড়পা বানে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে । শুক্রবার মালবাজারে যাচ্ছে বিজেপির নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল। এই দলে থাকছেন ৭ জন বিজেপি বিধায়ক, একজন বিজেপি সাংসদ ও জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সভাপতি। দুর্ঘটনার জেরে শুক্রবার জলপাইগুড়িতে যে কার্নিভাল হওয়ার কথা ছিল, তা বাতিল করা হয়েছে।
দুর্গাপুজোর বিসর্জনে জলপাইগুড়িতে দুর্ঘটনা নিয়ে জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন মুখ্যসচিব। আজ মালবাজারে যাচ্ছে বিজেপির নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল। এই দলে থাকবেন ৭ জন বিজেপি বিধায়ক, ১ জন বিজেপি সাংসদ এবং জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সভাপতি। সফরের আগেই দুর্ঘটনার দায় নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। বিজেপির মন্ত্রী-বিধায়করা দুর্ঘটনার জন্য পুলিশ-প্রশাসনকে দায়ী করেছেন। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও।
একসঙ্গে এতগুলো প্রাণহানির দায় কার? আদৌ কি সতর্ক ছিল প্রশাসন? মর্মান্তিক ঘটনার পর বিভিন্ন মহলে জোরাল হচ্ছে এই প্রশ্নগুলো। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে দাবি, দুর্ঘটনার মোকাবিলায়, বিসর্জনের সময় ঘাটে পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী প্রস্তুত রাখতে হয়।
তাছাড়াও রাখতে হয় নৌকা, লাইফ জ্যাকেট। জোয়ার-ভাটার সময় অনবরত ঘোষণা করতে হয়। মাইকে প্রচার করতে হয় । নির্দিষ্ট গাইডলাইন জানিয়ে ব্যানার টাঙাতে হয়। কিন্তু, বুধবার মাল নদীতে বিসর্জনের সময় কি এইসব সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল? তা নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মী ও আধিকারিকরা।
বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এক কর্মী জানান, 'আমাদের কর্মী কম ছিল, যেহেতু সব জায়গায় বিসর্জন হচ্ছে, তাই ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল এবং এখানে কর্মীর অভাব।'