রাজীব চৌধুরী, বহরমপুর: বহরমপুরে (Beharampur) ব্যবসায়ী পুত্রকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগে বন্ধুকে গ্রেফতার (Arrest) করল পুলিশ (Police)। ধৃতের নাম আক্রম শেখ। আগে খুন করে, পরে মুক্তিপণ চাওয়া হয়, দাবি পুলিশের। সেইসঙ্গে পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত খুনের কথা কবুল করেছে। 


খুনের অভিযোগে গ্রেফতার বন্ধু: অর্থই শেষপর্যন্ত অনর্থের কারণ হয়ে দাঁড়াল। বহরমপুরে বন্ধুকে খুনের অভিযোগে তাঁর বন্ধুকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, পাওনা টাকা না মেলায় খুন বলে জেরায় স্বীকার করেছে অভিযুক্ত।  চতুর্থীর দিন, মুর্শিদাবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বহরমপুর-মোড়গ্রাম বাইপাস লাগোয়া এলাকায় একটি জমিতে উদ্ধার হয় ২৫ বছরের বাপ্পা মণ্ডলের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ।


পরিবারের কী অভিযোগ? বাগুইআটি কাণ্ডের মতোই এই অপহরণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায়। আলাদাভাবে মৃতের বাড়িতে যান অধীর চৌধুরী ও সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন তাঁরা। পরিবার অভিযোগ করে, বাপ্পাকে আগের দিন দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ করা হয়েছিল।  তারপর বাপ্পার মোবাইল ফোন থেকেই ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। পুলিশকে মোবাইল নম্বর দিয়ে অপহরণের অভিযোগও জানায় পরিবার। কিন্তু তা সত্ত্বেও অপহৃতকে উদ্ধার করা যায়নি।


ঠিক কী ঘটেছিল? পুলিশ সূত্রে দাবি, ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল বাপ্পার বন্ধু, আক্রম শেখ। ষষ্ঠীর দিন বিকেলে বহরমপুরের কর্ণসুবর্ণ থেকে গ্রেফতার করা হয় আক্রমকে। পুলিশ সূত্রে দাবি, বাপ্পার কাছে টাকা পেতেন আক্রম। ঘটনার রাতে সেই টাকা আদায়ের জন্যই বাপ্পাকে ওই জায়গায় নিয়ে যান আক্রম। তারপর দু’জনের মধ্যে টাকা নিয়ে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, সেই সময় ধারাল অস্ত্র দিয়ে বাপ্পাকে কুপিয়ে খুন করে তাঁর বন্ধু আক্রম।  মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার (Murshidabad Superintendent of Police) কে শবরী রাজকুমার বলেন, “আমরা ৫টি টিম তৈরি করে তদন্তে নামি। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করি।’’ পুলিশ সূত্রে দাবি, পাওনা টাকা না পেয়েই খুনের ছক কষা হয়। ঘটনার রাতে অভিযুক্ত একাই ছিল, নাকি তাঁর সঙ্গে আরও কেউ ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


আরও পড়ুন: Job Seeker Agitation: পুজোর শহরে ভিন্ন ছবি, বঞ্চনার বিষাদ নিয়ে উৎসবের দিনেও পথেই এসএসসির চাকরিপ্রার্থীরা