রাজীব চৌধুরী, রেজিনগর: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ভোটের আগে, ফের রেজিনগরে বিস্ফোরণ। সোমবার রাতে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রেজিনগরের পশ্চিমপাড়া। স্থানীয় বাসিন্দা টুনি বিবির বাড়ির পিছনে ফাঁকা জায়গায় ঘটে বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাড়ির একাংশ। কয়েকদিন আগে এই রেজিনগরের ছেতিয়ানি ঘোষপাড়ায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। এরপর শনিবার ওই এলাকাতেই বাঁধের ধার থেকে উদ্ধার হয় জার ভর্তি বোমা। ভোটের আগে কি তবে মুর্শিদাবাদে বোমা মজুত করা হচ্ছিল? উঠছে সেই প্রশ্নই। 


ভোটের মুখে দু-দিনে তিন তিনবার বিস্ফোরণ মুর্শিদাবাদে। এবার রেজিনগরের পশ্চিমপাড়া। সোমবার রাত ৮ টা হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে রেজিনগরের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা টুনি বিবির বাড়ি। বিস্ফোরণে ভেঙে পড়ে বাড়ির একাংশ। ভেঙে পড়ে ইটের তৈরি দেওয়াল। এর আগে রবিবার ভোরে রেজিনগরের নাজিরপুরে আবর্জনার স্তূপে মজুত বোমা ফাটে। সোমবার বেলডাঙার ঝুনকা মাঝপাড়ার বিস্ফোরণে একটি বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের রেজিনগরে বিস্ফোরণ।


কিন্তু প্রশ্ন হল কারা ফাটাল বোমা? বাড়ির পিছনে কারা রেখেছিল বোমা ?রেজিনগরের বিস্ফোরণে তৃণমূল যোগ? বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় রেজিনগর থানার পুলিশ এসে তদন্তে নামে। ভোটের আগে কারা মজুত রাখছিল বোমা সেই নিয়ে তরজা অব্য়াহত। ওই বাড়ির বাসিন্দা বলেন, “ধোঁয়া উড়ছে চারিদিক দিয়ে, বাড়ি, ঘর, ছাদ ভেঙে গেছে। আমরা সব সময়ে ভয়ে। কালকেই আমাদেরকে শাসিয়েছে, আমাদেরকে বলছে খবরদার প্রশাসনকে বলবিনা। ওরা পার্টি করেই তো বেড়ায়। ওরা তৃণমূল করছিল।’’


এর আগে গত ২৫ এপ্রিল বুথের ৫০ মিটারের মধ্যে ফাটে বোমা। বোমার আঘাতে এক তৃণমূল কর্মী গুরুতর আহত হন বলে অভিযোগ। বড়ঞাঁ থানার মুনাই কান্দরা গ্রামে বোমার আঘাতে জখম হলেন আলি জিন্না। ঘটনার পরই আহতকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। যেখানে বিস্ফোরণ ঘটে, সেখান থেকে ৫০ মিটার দূরে মুনাই কান্দরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছিল লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণের ২ টি বুথ। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরণের কোনও নমুনা পাওয়া যায়নি বলে দাবি করা হয় পুলিশের তরফে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Loksabha Election 2024: ফের বসিরহাটের BJP প্রার্থীকে বাধা, রেখা পাত্রকে গো ব্যাক স্লোগান