রাজীব চৌধুরী, ফরাক্কা : ফের শাসকের পুলিশ শাসন ! এবার মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায়। ট্রাফিক পুলিশকে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তৃণমূলের উপপ্রধানকে। ট্রাফিক পুলিশকে ঘুসি মারার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিকেলে তৃণমূল নেতার পাটবোঝাই মোটরভ্যান আটকায় পুলিশ। তার জেরেই ট্রাফিক পুলিশকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
বিস্তারিত...
গতকাল বিকালে জাতীয় সড়কে একটি পাঠবোঝাই মোটরভ্যান আটক করে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ। তাঁদের বলা হয়, এভাবে নিয়ে যাওয়া যাবে না। ঠিক তখনই ওই গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান আসেন। তিনি পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তাঁর দাবি ছিল, তিনি একজন উপপ্রধান। তাঁর গাড়ি কেন আটকাবে পুলিশ। সেই নিয়ে বচসা থেকে ওই আধিকারিকে ঘুসি মারা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। একাধিক ধারায় তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপপ্রধান। তিনি বলেন, "এরকম কিছু হয়নি। আমি এসে বললাম, আমার ভ্যানটাকে কেন আটকানো হল। আমার ড্রাইভারকে গালিগালাজ করেন। আমার ড্রাইভারকে গালিগালাজ করতে পারেন না, এই কথাটা বলেছি। আমার গাড়ির চাবিটাও কেড়ে নিয়েছিল। আমাকে চাবিটা দিলেন না। আমি বললাম, আমার ড্রাইভারকে কেন গালিগালাজ করছেন। পুলিশের গায়ে হাত তুলিনি। কেউ যদি মিথ্যা বলে আমার কিছু বলার নেই।"
ওই আধিকারিক বলেন, "একটা ফর্ম আছে। নাম-ঠিকানা লিখে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওঁকে (চালককে) বলা হয়েছিল, আপনি এটা করে দিন। বলেন, আমি করব না। উনি ফোন করলেন...কোথাকার সদস্য আমি জানি না, জানতামও না। উনি এসেই উল্টোপাল্টা...আমার উপর চড়াও হলেন। অভিযুক্তকে এখন থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।"
অন্যদিকে অপর একটি ঘটনায়, এক শিক্ষিকাকে ছুটি না দেওয়া নিয়ে গন্ডগোল বাধল মালদায়। আর তার জেরেই মালদার হবিবপুরে স্কুলে ঢুকে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি‘ করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আঙুল উঁচিয়ে হুঁশিয়ারি দেন শাসকদলের শ্রমিক নেতা।
ওই শ্রমিক নেতা স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি। এই ঘটনা ঘটেছে, হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডী আর এন রায় বিদ্যানিকেতনে। শিক্ষিকাকে হুমকির ছবি ভাইরাল হওয়ার পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় আতঙ্কে ভুগছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা। জেলা স্কুল পরিদর্শক ও হবিবপুরের BDO-কে অভিযোগ জানিয়েছেন এই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা।