মুর্শিদাবাদ : নওদায় তৃণমূলকর্মীকে পিটিয়ে খুন, গ্রেফতার দলেরই কর্মী। গতকাল রাতে এলাকা থেকেই গ্রেফতার ১ তৃণমূলকর্মী। গতকাল রাস্তা নিয়ে বিবাদের জেরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ। তৃণমূল বিধায়কের অনুগামীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ব্লক সভাপতির অনুগামীদের বিরুদ্ধে । 


এবার নওদায় প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল!


মুর্শিদাবাদের নওদার রাজপুরে, রাস্তা তৈরি করা নিয়ে তৃণমূলের দু-পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরেই বচসা চলছে। সূত্রের দাবি, ক্রমে তা, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সাহিনা মমতাজ খান এবং তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সফিউজ্জামান শেখের অনুগামীদের মধ্যে বিবাদে পরিণত হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে, যা চরম আকার নেয়। অভিযোগ, বিধায়কের এক অনুগামীকে মারধর করে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতির লোকজন।

খবর পেয়ে, ওই ব্যক্তিকে বাঁচাতে আসেন, তাঁর ভাই মণিরুল মুন্সি। মণিরুলকে ইট-বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায়, এই তৃণমূলকর্মীকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে, এখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

বৃহস্পতিবার, দলীয় কোন্দলেই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান নওদার তৃণমূল বিধায়ক। যদিও, শুক্রবার বিধায়ক দাবি করেছেন, রাস্তা নিয়ে সমস্যার কারণেই এই মৃত্যু!                 

এই বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের মন্তব্য 'নওদার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। দলে ডিসপিউট থাকলে বোঝাতে হয়। ওখানে অধীরের উস্কানি আছে। দল থেকে গোটা বিষয়টা ঠিক করা হবে।'                 

খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই এলাকা থেকে হাসানুর শেখ নামে এক তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করে নওদা থানার পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আহত ৬ জন।                 


আরও পড়ুন :


শুধু জামাইয়ের মঙ্গল নয়, জামাইষষ্ঠী ব্রতপালনের পিছনে ছিল শাশুড়িদের আরও এক মনস্কামনা


 কিছুদিন আগে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ব্লক ও অঞ্চল কমিটি গঠন ঘিরে বাঁকুড়ায় সামনে এসে পড়ে তৃণমূলের অন্দরের বিবাদ। দলের বিধায়ক ও জেলা সভাপতির কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলেরই নেতা-কর্মীদের একাংশ। যদিও সেই সময় কার্যালয়ে ছিলেন না বিধায়ক। তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন  দলেরই জেলা সহ সভাপতি। যদিও, তৃণমূল বিধায়ক ও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দলের কর্মীদের কোনও মান-অভিমান থাকলে তাঁরা দলের কার্যালয়ে আসবেন এটাই স্বাভাবিক। এর সঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দের কোনও সম্পর্ক নেই।