রাজীব চৌধুরী, বহরমপুর : ২০১৯ সালের সেই রোমহর্ষক জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে উৎপল বেহরাকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। তবে, আগামীকাল, বুধবার অভিযুক্তের বয়ান শোনার পর রায় দেবেন বহরমপুর ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠক। এদিন বহরমপুরে ফাস্ট ট্রাক কোর্টে শুনানি হয়।


২০১৯ সালের ৮ অক্টোবর। দশমীর দিন  দুপুরে    জিয়াগঞ্জের লেবুবাগান এলাকায় নিজের বাড়িতে খুন হন ৪১ বছরের বন্ধু প্রকাশ পাল, শিক্ষকের স্ত্রী ৩১ বছরের বিউটি পাল মণ্ডল ও তাঁদের ৭ বছরের সন্তান বন্ধু অঙ্গন পাল । সেই সময় গর্ভবতী ছিলেন শিক্ষকের স্ত্রী। ঘটনায় তদন্তে নেমে আগেই উৎপলকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। দীর্ঘ তদন্তের পর ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ২০১ ধারায় চার্জশিট দায়ের করা হয়। 


এই কেসে প্রথমবারের জন্য ‘রাইট ব্লকার’ ব্যবহার করা হয়েছে। রাইট ব্লকার ব্যবহার করে দেখানো হয়েছে, জিয়াগঞ্জের ফেরিঘাটের সিসিটিভি  ফুটেজ। যাতে দেখা গিয়েছে, বন্ধু প্রকাশের বাড়ি যাওয়ার আগে ঘাট পেরোচ্ছে অভিযুক্ত, সঙ্গে ছিল ব্যাগ। আর ঘটনার পর ব্যাগ, টি-শার্ট ছাড়াই শুধুমাত্র স্যান্ডো গেঞ্জি, বার্মুডা পরে ঘাট পেরিয়ে নৌকায় উঠছে অভিযুক্ত। তদন্তে উঠে এসেছিল হত্যার নৃশংসতাও। খুনের পর ধারালো অস্ত্র, ব্যাগ, জুতো ঘটনাস্থলেই ফেলে পালিয়েছিল খুনি। ঘাট পার হওয়ার জন্য নৌকায় ওঠার আগে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল টি-শার্টও । নৌকা থেকে আজিমগঞ্জে নেমে টি-শার্ট কিনে বাড়ি ফেরে ওই যুবক।


তদন্ত সূত্রে উঠে এসেছে, আগে থেকেই খুনের পরিকল্পনা করেছিল অভিযুক্ত। কেনা হয়েছিল ধারালো অস্ত্র। তদন্তে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা নিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজও । ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া অস্ত্রে ছিল ধৃতের আঙুলের ছাপ। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ব্যাগ নিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছেন অভিযুক্ত। কিন্তু সেখান থেকে বেড়িয়ে আসার সময় তার কাছে ছিল না ব্যাগ।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ইনস্যুরেন্সের কাগজ নিয়েই চলছিল বিবাদ। সেখান থেকেই এই খুন।  ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ইনস্যুরেন্সের কাগজ। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, সেই কাগজে লেগেছিল রক্তের দাগ। তদন্তে  থেকে উঠে এসেছে, ল্যাপস হয়ে গিয়েছিল সেই বীমা । যদিও বন্ধু প্রকাশকে বীমার জন্য টাকা দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। তদন্তে আরও উঠে এসেছে বন্ধু প্রকাশকের সম্মতিতেই বাড়িতে ঢুকেছিল আততায়ী। ঘটনার ৭৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনকে হাজিরা দিতে হয়েছে আদালতে।  সাক্ষ  পরীক্ষা করে দেখেছে আদালত। এদিন এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন উৎপল বেহরা। কাল হবে সাজা ঘোষণা।


তদন্ত দেখা যায়, ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া অস্ত্রে ছিল ধৃতের আঙুলের ছাপ। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ব্যাগ নিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছে অভিযুক্ত। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় তার কাছে ছিল না ব্যাগ। পুলিশ সূত্রে খবর, বিমার কাগজ নিয়েই বিবাদচলছিল । সেখান থেকেই এই খুন।  ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ইনস্যুরেন্সের কাগজ। সেই কাগজে লেগেছিল রক্তের দাগ। ল্যাপস হয়ে গিয়েছিল সেই বিমা । যদিও বন্ধু প্রকাশকে বিমার জন্য টাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত। তদন্তে আরও উঠে এসেছে, বন্ধু প্রকাশকের সম্মতিতেই বাড়িতে ঢুকেছিল আততায়ী। 


ঘটনার ৭৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনকে হাজিরা দিতে হয়েছে আদালতে।  সাক্ষ্য পরীক্ষা করে দেখেছে আদালত। এদিন এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন উৎপল বেহরা।