রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: নবগ্রামে (Nabagram) থানা লকআপে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশকে (Police) ঘিরে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার ও গ্রামবাসীরা। যে বাড়িতে চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই বাড়ির মালিক প্রদীপ ওরফে রাজ্যবর্ধন ঘোষ কলকাতা পুলিশে কর্মরত।                                                                                                     


স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ কর্মীর বাড়িতে চুরির অভিযোগ পেয়ে নবগ্রাম থানা অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে। চোর সন্দেহে মঙ্গলবার প্রথমে একজনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন গোবিন্দ ঘোষকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর, ওই ব্যক্তিকে ছে়ড়ে দেয় পুলিশ। গোবিন্দর পরিবারের দাবি, চুরির ঘটনার দিন সেনা ছাউনিতে কাজে গিয়েছিলেন দিনমজুর গোবিন্দ। চোর সন্দেহে তাঁকে ধরায় গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ।    


বেহালায় বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের মর্মান্তিক পরিণতির পরে গণরোষের মুখে পড়েছিল পুলিশ। একই দিনে সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই মারাত্মক অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে। থানা লকআপে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল খোদ অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে। 


যে ঘটনাকে ঘিরে নবগ্রাম থানায় আছড়ে পড়ে গণরোষ। মধ্যরাত অবধি থানা ঘিরে বিক্ষোভ, ব্যাপক ইটবৃষ্টি, পাল্টা পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো, রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নবগ্রাম থানা চত্বর। 


আরও পড়ুন, ৩৫ বছর পর আজ SUCI -র সমাবেশ, লাল নিশান উড়িয়ে এল সমর্থকদের মিছিল


স্থানীয় সূত্রের খবর, গোবিন্দ ঘোষ নামে বছর পঁচিশের এক যুবককে বুধবার সন্ধেয় তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। নবগ্রাম সেনা ছাউনিতে দিনমজুরের কাজ করতেন গোবিন্দ। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবেশীর বাড়িতে চুরির অভিযোগ উঠেছিল। 


২ দিন পর, অর্থাৎ শুক্রবার সন্ধেয় গোবিন্দর মৃত্যুসংবাদ পান পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, গোবিন্দকে লকআপে পিটিয়ে মেরেছেন নবগ্রাম থানার ওসি অমিতকুমার ভকত। 


মৃতের দাদা খোকন ঘোষ বলেন, 'ছেড়ে দেব বলেই আমার ভাইকে তদন্ত করতে মারতে মারতে, মেরে ফেলেছে। থানা থেকে নিয়ে এসেছে হাসপাতালে। থানার গাড়িতে। মেরে দিয়েছে। দিয়ে নিয়ে চলে এসেছে।'