Chandrayaan 3: চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) ইতিমধ্যেই পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের দুই তৃতীয়াংশ অতিক্রম করে ফেলেছে। ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল ইসরোর (ISRO) এই মহাকাশযান। আজ ৫ অগস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে চন্দ্রযান ৩। ভারতীয় সময় সন্ধে ৭টা নাগাদ Lunar Orbit Injection (LOI) প্রক্রিয়া হবে বলে জানা গিয়েছে ইসরো সূত্রে। এর আগে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছিল যে চন্দ্রযান ৩ স্বাভাবিক অবস্থাতেই রয়েছে এবং চন্দ্রপৃষ্ঠে আগামী ২৩ অগস্ট সফট ল্যান্ডিং অর্থাৎ অবতরণ করবে ল্যান্ডার এবং রোভার। 


২০১৯ সালে চাঁদের বুকে চন্দ্রযান ২ পাঠানোর চেষ্টা করেছিল ইসরো। তবে সেই অভিযান সফল হয়নি। এর চার বছর পর এবার ২০২৩ সালে তৃতীয়বার চন্দ্রাভিযান করছে ইসরো। লক্ষ্য চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ডারের সফল অবতরণ। আজ ৫ অগস্ট যে লুনার অরবিট ইনসারশন পরিকল্পনা করা হয়েছে সেখানে চাঁদের কক্ষপথে থাকা একটি মহাকাশযান দেখা যাবে। এটি একটি কৌশল যা বেঙ্গালুরুর ISRO Telemetry, Tracking and Command Network (ISTRAC) থেকে পরিচালিত হবে। চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার সফলভাবে অবতরণের পর রোভার এক চন্দ্র দিন সেখানে পর্যবেক্ষণ চালাবে বলে জানিয়েছে ইসরো। এই এক চন্দ্র দিন পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান। 


চন্দ্রযান ৩- এর রোভার


এই রোভারের ওজন ২৬ কিলোগ্রাম। সেখানে রয়েছে একাধিক বিজ্ঞাসম্মত যন্ত্রাংশ। এই তালিকায় ক্যামেরা, স্পেক্ট্রোমিটার এবং একটি ড্রিল রয়েছে। এইস যন্ত্রাংশের সাহায্যে চন্দ্রপৃষ্ঠের পর্যবেক্ষণ করা হবে। অনুমান করা হচ্ছে, ২৩ অগস্ট ভারতীয় সময় বিকেল ৫টা ৪৭মিনিট নাগাদ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ৩- এর ল্যান্ডার। এই ল্যান্ডারের সফলভাবে সফট ল্যান্ডিংয়ের উপরেই পরবর্তী পর্যবেক্ষণ নির্ভর করছে। 


সফট-ল্যান্ডিং বলতে এখানে ল্যান্ডারের সফল অবতরণকেই বোঝানো হয়েছে। এক্ষেত্রে ল্যান্ডার এবং রোভার কারও নূন্যতম ক্ষতি হওয়াও চলবে না। চন্দ্রযান ২- এর ক্ষেত্রে সফলভাবে অবতরণ হয়নি। আর তা থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার আরও সতর্ক ইসরোর বিজ্ঞানীরা। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের সফল অবতরণের ব্যাপারে একটুও ঝুঁকি নিচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা। ল্যান্ডারের অবতরণের আগে ভালভাবে খতিয়ে দেখা হবে সেই অংশ যেখানে ল্যান্ডার নামবে। এই কাজ পৃথিবীতে বসে করবেন বিজ্ঞানীরা। 


অবতরণের সময় সামান্য ক্ষতি হওয়া মানে শুধু ল্যান্ডার বিক্রম নয় তার মধ্যে থাকা রোভার প্রজ্ঞানেরও ক্ষতি হবে। আর এমন ঘটনা ঘটলে সাফল্য আসবে না চন্দ্রযান ৩- এর অভিযানে। তাই এবার অত্যন্ত সতর্ক রয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। কারণ সাফল্য এলে ভারতই হবে এশিয়ার প্রথম দেশ যারা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অভিযান চালাবে, নমুনা সংগ্রহ করবে এবং তা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে জানানো হবে যে কী রয়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠের ওই অংশে।


আরও পড়ুন- প্রতি ২০ মিনিট অন্তর চমকাচ্ছে আলো, কীসের সঙ্কেত? কারা পাঠাচ্ছে?