রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: ময়ূরাক্ষীর জলে ফের ভাসল মুর্শিদাবাদের কান্দির একাংশ। কয়েকশো কোটি টাকা খরচ করে কান্দি মাস্টার প্ল্যানের সাফল্য নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। প্ল্যান নিয়ে একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল ও কংগ্রেস।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্যই মাস্টার প্ল্যান করুক। আর টাকা দিক।' অতিবৃষ্টি আর বিভিন্ন জলাধারের ছাড়া জলে, পুজোর মুখে ৮ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি বন্যা নিয়ন্ত্রণে, ফের মাস্টার প্ল্যানের দাবিতে সরব মুখ্যমন্ত্রী। আর এই প্রেক্ষাপটে মুর্শিদাবাদে বন্যা নিয়ন্ত্রণে, ৪৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হওয়া কান্দি মাস্টার প্ল্যানের সাফল্য নিয়ে উঠল বড় প্রশ্নচিহ্ন। দক্ষিণবঙ্গের ৮ জেলার পাশাপাশি ময়ূরাক্ষীর জলে ভেসেছে মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমার বড়ঞা ও ভরতপুর ১ ব্লকের একাংশ।
চাষের জমি জলের তলায়, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, জলমগ্ন রাস্তাঘাট। প্রণব মুখোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন, ২০১০ সালে শুরু হয় কান্দি মাস্টার প্ল্যানের কাজ। কান্দি মহকুমার খড়গ্রাম, বড়ঞা, কান্দি, ভরতপুর ১ ও ভরতপুর ২ ব্লককে বন্যার হাত থেকে বাঁচানো। কান্দি মাস্টার প্ল্যানের আওতায় নতুন নদী বাঁধ তৈরি, পুরনো বাঁধ মেরামতি ও একাধিক সেতু তৈরি করা হয়। মাস্টার প্ল্যানের কাজ প্রায় শেষ। কিন্তু সাম্প্রতিক অতিভারী বৃষ্টিতে ময়ূরাক্ষীর জল ছাপিয়ে জলমগ্ন খড়গ্রাম ও ভরতপুরের একাংশ।
প্রশ্নে কান্দি মাস্টার প্ল্যান। তুঙ্গে কংগ্রেস-তৃণমূল তরজা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কথায়, উন্নয়নের টাকা দিল্লি থেকে আমরা এনে দিলাম, সেই টাকাও খরচ করতে পারে না। রাজ্য সরকারের নিজস্ব যারা কন্ডাক্টর, তারাই বড় বড় ঠিকাদার। তাদের দুর্নীতির কারণে বাঁধ গুলো দুর্বল হয়েছে, বাঁধের উচ্চতা কমেছে।
মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহেরের কথায়, মুর্শিদাবাদ জেলায় ঠিকাদারদের টেন্ডার যেখান থেকে হয় তা কন্ট্রোল করে অধীর চৌধুরী, এবং সেখানে কাটমানি খায়, সুতরাং তার এসব কথা বলা মানেই বাতুলতা। বহুচর্চিত এই প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূল - দু’পক্ষকেই বিঁধেছে বিজেপি। অতীতে কান্দি মাস্টার প্ল্যানের বাস্তবায়ন নিয়ে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইত। মাস্টার প্ল্যান কার্যকরী হওয়ার পরও বানভাসি হওয়ার ছবিটা বদলাল কি? প্রশ্ন উঠছে।