সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: ঘাটালে জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ডক্টর মানষরঞ্জন ভুঁইয়া। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী, সাংসদ প্রতিনিধি রাম পদ মান্না, ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ বিকাশ কর, ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুই। আজ বিকেল চারটে নাগাদ ঘাটালে বন্যা পরিদর্শনে আসেন জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ডক্টর মানুষ রঞ্জন ভূঁইয়া। ঘাটালের দু'নম্বর চাথাল থেকে বোডে করে ঘাটাল ব্লকের অজবনগর এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। ওই এলাকার মানুষজনের সমস্যার কথা শোনেন, অজবনগর এলাকার বেশ কিছু পরিবারের হাতে তুলে দেন ত্রাণ সামগ্রিক।
ফের বন্যা বিধ্বস্ত ঘাটাল-চন্দ্রকোণা। ৩ মাসে এই নিয়ে ৪ বার। শনিবার সকাল থেকে শিলাবতী কিছুটা শান্ত। কমছে জলস্তর। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, চন্দ্রকোনার প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কমেনি!
প্লাবন-বিধ্বস্ত চন্দ্রকোনার ভগবন্তপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষকিরা গ্রামের এই কাঠের সেতুর বেহাল দশা।সেতু ভাঙলে মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তাই দিনরাত এক করে সেতু রক্ষায় নেমেছেন গ্রামবাসীরা। শিলাবতী ও কেঠিয়ার জলে প্লাবিত চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের ভগবন্তপুর ১,ভগবন্তপুর ২ ও বসনজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত।বানভাসি দশা চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের মনোহরপুর ১, মনোহরপুর ২ ও মানিককুণ্ডু গ্রাম পঞ্চায়েত।
চন্দ্রকোণার মতোই শিলাবতীর জলে প্লাবিত ঘাটাল পুরসভা ও ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রশাসন সূত্রে খবর, ঘাটাল পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টিই জলের তলায়। ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০টিই জলমগ্ন। গতবারের বন্যায় মহকুমা শাসকের অফিস লাগোয়া দেওয়ালে যে বাঁধ দেওয়া হয়েছিল, তাতে ফের ফাটল ধরেছে।তাই বিপদের আশঙ্কায় কাঁপছেন ঘাটাল শহরের বাসিন্দারা। বিপর্যস্ত জনজীবন!
শনিবার ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু ও জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। ঘাটাল থেকে চন্দ্রকোণা, কৃষক থেকে ব্যবসায়ী এলাকার প্রত্যেকটি মানুষের এখন একটাই প্রশ্ন, আর কবে বাস্তবায়িত হবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান?