রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরে হুমায়ুন কবীরের বাড়িতে পুলিশ। হুমায়ুনের ছেলের বিরুদ্ধে নিরাপত্তারক্ষীকে মারধরের অভিযোগ।নিরাপত্তারক্ষীকে মারধরের অভিযোগ পেয়ে হুমায়ুনের বাড়িতে পুলিশ। পাল্টা নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ হুমায়ুনের।

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, ওড়িশায় বঙ্গসন্তান 'খুনে' সরব মুখ্যমন্ত্রী, 'বাংলা ভাষায় কথা বলা অপরাধ হতে পারে না..'

Continues below advertisement

হুমায়ুন বলেন, শক্তিপুর থানা সহ-জেলাপুলিশের কিছু গাড়ি, আমার বাড়িতে-আশপাশে ঘিরে রয়েছে। আমি মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারকে আপনাদের মাধ্যমে বলছি,.. আমাদের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন আচরণ যেন পুলিশ না করে। তাহলে আমি কিছুক্ষণ ওয়েট করব, এবং আমার বাড়িতে যদি কোনওরকম, পুলিশ কোনও অশালীন আচরণ করে, বা আমার বাড়িতে পুলিশ, আমার ছেলে বা আমার মিসেস ও আমার বৌমা আছে, আর কেউ বাড়িতে নেই। তাঁদের সঙ্গে যদি কোনও অশালীন আচরণ করে, আমি এখান থেকে ঘণ্টা দুয়েক পরে ঘোষণা করব., আগামী বৃহস্পতিবার, মুর্শিদাবাদ পুলিশ সুপারকে, বেলা ১২ টা থেকে ঘেরাও করে, জবাব নেব। বহরমপুর শহরকে স্তব্ধ করে দেব। পারলে পুলিশ আমাকে রুখে নিক..।'

মূলত, দুর্ব্যবহার করায় নিরাপত্তারক্ষীকে বের করে দেয় ছেলে, দাবি হুমায়ুনের। 'নিরাপত্তারক্ষী আমাকে মারতে এসেছিল, ছেলে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়', প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার এসপি অফিস ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি হুমায়ুনের। 'ছুটি চেয়েছিলেন হুমায়ুন কবীরের নিরাপত্তারক্ষী। ছুটি দিতে রাজি হননি ভরতপুরের বিধায়ক', হুমায়ুনের ছেলে এসে নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করেন, পুলিশ সূত্রে দাবি। হুমায়ুন কবীর আর বিতর্ক পিছু ছাড়ে না।  হুমায়ুন কবীরের নিরাপত্তারক্ষী ছুটি চাইতে গেলে বিবাদে জড়ান হুমায়ুন কবীর ও তার ছেলের সঙ্গে। গড়াল জল অনেক দূর। শক্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হল।যদিও এই দাবি উড়িয়ে পাল্টা নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা।

ছাব্বিশের নির্বাচনেই তৃণমূল সরকারের পতন হবে। গতকালই হুঙ্কার দিয়েছিলেন সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা ও জনতা উন্নয়ন পার্টির চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর। একইসঙ্গে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনার দায়ও পুলিশমন্ত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরেই চাপিয়েছিলেন তিনি। এদিকে চব্বিশ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই পটবদল ! প্রথমে 'বাবরি মসজিদ'-এর শিলান্যাস! তারপরে নতুন দল তৈরি, আর এবার সরাসরি ১৫ বছরের তৃণমূল সরকারকে ছাব্বিশের নির্বাচনে উৎখাতের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা ও জনতা উন্নয়ন পার্টির চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে সরাসরি আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। হুমায়ুন কবীরের কথায়, হুমায়ুন কবীর বেঁচে থাকতেই তৃণমূল সরকারের পতন ঘটবে, ২০২৬ সালেই ঘটবে।'