কলকাতা : বাংলাদেশে নৈরাজ্যের সীমা নেই। ময়মনসিংহের ভালুকায় দীপুচাঁদ দাস নামে এক হিন্দু যুবককে পিটিয়ে খুনের পর প্রকাশ্য়ে তাঁর মৃতদেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। দীপু দাসের ঘটনাতেই থামল না হিংসার আগুন। ফের হিন্দুদের বাড়িতে আগুন জ্বালাল দুষ্কৃতীরা। চট্টগ্রামের রাউজানে হিন্দু পরিবারের বাইরে থেকে দরজা আটকে বাড়িতে আগুন দিয়ে দিল কিছু দুবৃত্ত। খবর বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
সূত্রের খবর, এই দুই বাড়িতেই হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের বাস। জানা গিয়েছে, চট্টগ্রামের রাউজানের বাসিন্দা সুখ শীল ও অনিল শীলের বাড়িতে আগুন লাগানো হয় ভোর রাতে। তখন সকলেই ঘুমোচ্ছিলেন তাঁরা। তাই টার্গেট করা হয় তাঁদের। বাড়ির বাইরে থেকে দরজা আটকে দেওয়া হয়। তারপর লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। এতে পরপর ভস্মীভূত হয়ে যায় ৭টি ঘরবাড়ি। যতদূর খবর, কিছু দুষ্কৃতী বাড়িটি আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। যার ফলে বাড়ির ভিতরে থাকা সমস্ত জিনিসপত্র পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, বাড়ির ভিতরে থাকা পোষ্যও আগুনে পুড়ে গিয়েছে বলে খবর। তবে এই হামলায় পরিবারের কোনও সদস্যের কোনও ক্ষতি হয়নি। তারা ঘটনার সময় পালিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে। জানা গিয়েছে, বাড়িতে সোনাদানা-সহ কিছু নগদ টাকাও ছিল। আগুনে সে-সব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। আসবাবপত্রও ভস্মীভূত। বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে অনিলের ছেলে মিঠুন শীল জানান,আগুন লেগেছে বুঝেই পালানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। দুটো দরজাতেই বাইরে থেকে হুক লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শেষে যে যার মতো বেড়া কেটে পালাতে পারেন।
আগুন দেখে, বাঁশ ও বেড়া ভেঙে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন ২ পরিবারের বাসিন্দারা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দুষ্কতীদের খোঁজ চলছে, । রাউজান থানার ওসি সঠিক তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কয়েকদিন আগেও চট্টগ্রামের বড়ুয়াপাড়ায় হিন্দুদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। শনিবার লক্ষ্মীপুরে BNP নেতা বেলাল হোসেনের বাড়ির দরজায় বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে, পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় বিএনপি নেতার ৭ বছরের মেয়ের! সোমবারও অশান্তির আঁচ কমেনি। প্রথম আলো সূত্রে খবর,খুলনার সোনাডাঙা এলাকায় দুষ্কৃতীদের । গুলিতে বিদ্ধ হন জাতীয় নাগরিক পার্টি বা NCP-র শ্রমিক সংগঠনের নেতা মোতালেব শিকদার।
অন্যদিকে, 'প্রথম আলো' ও 'ডেলি স্টার', দুই সংবাদপত্রের দফতরে তাণ্ডবের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, হামলার ঘটনার বিভিন্ন ফুটেজ খতিয়ে দেখে এখনও পর্যন্ত আরও ৩১ জনকে শনাক্ত করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।