রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: বহরমপুরে (Baharempore) ছাত্রী নারকীয় হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র কেনা হয়েছিল কোথা থেকে? মালদার (Malda) ইংরেজবাজারে ধৃত সুশান্তকে রথবাড়ি পুরবাজারে নিয়ে যায় বহরমপুর থানার পুলিশ। যেখান থেকে অস্ত্র কেনা হয়েছিল, সেই দোকান চিহ্নিত করে সুশান্ত। এরপরে সুশান্তকে থানায় রেখে নিহত সুতপার বাড়িতে যায় পুলিশ।
বহরমপুরে ছাত্রী খুনে অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে আইনজীবী নিয়োগ করার চেষ্টা হলেও সুশান্ত এদিন আইনজীবী নিতে চায়নি বলে দাবি করা হয়েছে আইনজীবী সুত্রে। ১০ দিন পুলিশি হেফাজতের পর এদিন সুশান্তকে বহরমপুর সিজিএম কোর্টে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ফের ২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। তদন্তকারী আধিকারিককে বিচারক জানতে চান খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র তো উদ্ধার হয়েছে এবং কোথা থেকে সেই অস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছে সেটাও তো জানা হয়ে গেছে তবে আবার কেন পুলিশি হেফাজতে চাইছেন। তার উত্তরে তদন্তকারী আধিকারিক বলেন আমাদের আরও কিছু তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে তার জন্য আরও চার দিনের পুলিশি হেফাজত দরকার। এরপর বিচারক অপর্না চৌধুরী দুদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
বহরমপুরে কলেজছাত্রীকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। সুতপাকে খুন করে পালানোর পথ আগেই তৈরি করে রেখেছিল সুশান্ত।
খুনের আগে রেকি
পুলিশ সূত্রের খবর, জেরা চলাকালীন হাসতেই হাসতেই ওই যুবক জানিয়েছে, রীতিমতো পরিকল্পনা করেই কলেজছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে খুনের ছক কষে। সুতপাকে প্রাণে মেরে ফেলা এক্কেবারে নিশ্চিত করে ফেলতে চেয়েছিল সুশান্ত। খুনের আগে বহরমপুরের গোরাবাজারের ওই এলাকায় বারবার রেকি করার ফাঁকেই পালানোর বন্দোবস্ত করে রাখে ওই যুবক। পরিকল্পনা করেছে কীভাবে মেরে ফেলবে সে সুতপাকে। কোন রাস্তা দিয়েই বা পালাবে। সুতপার মেসের পাড়ার সামনের রাস্তা মোটামুটি ফাঁকাই থাকে। তা সে আগেই খেয়াল করেছিল। সেই অনুসারেই ছকেছিল এসকেপ রুট!
পাঁচিল টপকে পালায় সুশান্ত
এলাকার একটি বাড়ির পাঁচিল টপকে পালাবে বলে ঠিক করে সে। সেই উদ্দেশে পাঁচিলে লাগানো পেরেক বাঁকিয়ে রেখে দেয়। ঠিক পরিকল্পনামাফিক, খুনের পর ওই জায়গা দিয়েই পাঁচিল টপকে পালায় সুশান্ত। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।