রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ : মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তৃণমূলের (TMC) হাতেই রক্ত ঝরল তৃণমূলের। হাতাহাতিতে জড়ালেন ভরতপুরের (Bharatpur) তৃণমূল বিধায়ক ও ভরতপুর ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতির অনুগামীরা।
কথায় বলে, 'morning shows the day'... পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার পর ২৪ ঘণ্টাও পেরোলো না, ঝরল রক্ত! আর এটাই ফের একবার প্রশ্ন তুলে দিল। আদৌ শান্তিপূর্ণভাবে হবে তেইশের গ্রাম বাংলার ভোট? না কি আঠেরোর অ্যাকশন রিপ্লে দেখতে হবে রাজ্যবাসীকে? মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের হাতেই রক্ত ঝরল তৃণমূলের। মনোনয়ন জমার আগে শুক্রবার সর্বদলীয় সভার আয়োজন করা হয়, মুর্শিদাবাদের ভরতপুর ২ নম্বর ব্লক অফিসের। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি, নিজেদের অনুগামীদের নিয়ে উপস্থিত ছিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও ভরতপুর ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান। জেলার রাজনীতিতে যাঁরা পরস্পরের বিরোধী বলেই পরিচিত।
বৈঠক শেষে আচমকা তাঁদের অনুগামীদের মধ্য়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। বেধড়ক মারধরে আহত হন দু'পক্ষের ১৫ জন। 'আদি ও নব্য়ের দ্বন্দ্ব'। স্বীকারোক্তি হুমায়ুন কবীরের । ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর এ প্রসঙ্গে বলছেন, ভালোভাবে পিস মিটিং হয়েছে, সেখান থেকে বেড়িয়ে আসার পরে এখানে মাদারের তৃণমূলের সভাপতির নেতৃত্বে কিছু ছেলে মোটর বাইক নিয়ে মিছিল করে যুবর দিকে আসে, যুবরও কিছু ছেলে তাঁদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সেখানে ছোটখাটো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সেখানে আমাদের কর্মী হিসাবে, যুব আমাদের কর্মী আর মাদারও আমাদের কর্মী, মাদারের আমাদের যারা নেতৃত্ব দেয় তাড়াও আমাদের নেতা আর যুব যাদের নেতৃত্ব দেন তাঁরাও আমাদের নেতা। যেটা হয়েছে সেটা বাঞ্ছনীয় না।
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য়ে আসতেই, কটাক্ষ করতে কালবিলম্ব করেনি বিরোধীরা। ভোটের দিন ঘোষণার পর প্রথম দিনই এই ছবি!তাহলে এরপর কী হবে?সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকে।