বহরমপুর: মুষলধারে না হলেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে আজও ভিজতে পারে মুর্শিদাবাদ জেলার একাধিক জায়গা। সকালের দিকে হালকা এবং বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। বিকেলের দিকে বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্র-বিদ্যুতের গর্জন শোনা যেতে পারে। বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও। গতকালের থেকে আজ তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। বরং বৃষ্টি হলেও, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বজায় থাকবে। শনিবার এমনই থাকবে মুর্শিদাবাদের সামগ্রিক আবহাওয়া (Murshidabad Weather)।
সকালে বিকেলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার মুর্শিদাবাদ জেলায় আকাশ মূলত মেঘলা থাকবে। সকালের দিকে হালকা বৃষ্টি হতে পারে একাধিক জায়গায়। বিকেলের দিকেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সকালে মুর্শিদাবাদে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ। বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬০ শতাংশ বিকেলের দিকে। সঙ্গে ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
শনিবার মুর্শিদাবাদ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। রাতের দিকে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে। তবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। জেলায় সকালে আর্দ্রতার হার থাকবে ৭৭ শতাংশের মতো। রাতের দিকেও আর্দ্রতার হার ৮৭ শতাংশের মতোই থাকবে বলে পূর্বাভাস মিলেছে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক মুর্শিদাবাদের আজকের আবহাওয়ার আপডেট-
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা- ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা- ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বাতাসের আর্দ্রতা- ৮৭ শতাংশ
সামগ্রিক আবহাওয়া- সকালে-বিকেলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে
সূর্যোদয়- সকাল ৫টা বেজে ২৩ মিনিট
সূর্যাস্ত- বিকেল ৫টা বেজে ৩৮ মিনিট
আরও পড়ুন: MSouth 24 Parganas Weather Update: সপ্তাহান্তে স্বস্তি, শনিবার সারাদিন বৃষ্টি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ?
রাজ্য়ের পশ্চিমের জেলা মুর্শিদাবাদ ২৪ ডিগ্রি ৫০ মিনিট থেকে ২৩ ডিগ্রি ৪৩ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ ডিগ্রি ৪৬ মিনিট পূর্ব থেকে ৮৭ ডিগ্রি ৪৯ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। মোট ৫ হাজার ৩৪১ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থান।
এ দিকে, সামগ্রিক ভাবে জুনের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিহীন থেকেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার ফলে কৃষকাজের উপরেও এই অনাবৃষ্টির প্রভাব পড়েছে। তবে গত কয়েক দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতাও। তাতে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা। তবে গত কয়েক দিনে পুষিয়ে গিয়েছে জলের চাহিদা। বরং কিছু কিছু জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।