বহরমপুর: মুষলধারে বৃষ্টিতে ভিজতে পারে মুর্শিদাবাদ জেলার একাধিক জায়গা। তার ফলে তাপমাত্রাও কমবে জেলায়। সকালেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জেলায়। বিকেলেও অবিরাম বৃষ্টি চলবে।  তবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বজায় থাকবেই। সোমবারএমনই থাকবে মুর্শিদাবাদের সামগ্রিক আবহাওয়া (Murshidabad Weather)।  

সকালে-বিকেলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা মুর্শিদাবাদে

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবারবার মুর্শিদাবাদ জেলায় আকাশ মূলত মেঘলা থাকবে। সকালের থেকেই দফায় দফায় মুষলধারে বৃষঅটি নামবে সেখানে। বিকেলের দিকেও অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তার জেরে লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। বলা হয়েছে, সকালে এবং বিকেলে মুর্শিদাবাদে বৃষ্টির সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ। সোমবার সব মিলিয়ে মুর্শিদাবাদে ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সঙ্গে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে।

সোমবার মুর্শিদাবাদ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। রাতের দিকে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে। তবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। জেলায় সকালে আর্দ্রতার হার থাকবে ৯০ শতাংশের মতো। রাতের দিকেও আর্দ্রতার হার ৯০ শতাংশের মতোই থাকবে বলে পূর্বাভাস মিলেছে।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক মুর্শিদাবাদের আজকের আবহাওয়ার আপডেট- 

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা- ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসসর্বনিম্ন তাপমাত্রা- ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

বাতাসের আর্দ্রতা- ৯০ শতাংশ

সামগ্রিক আবহাওয়া-  সকালে-বিকেলে ভারী বৃষঅটি, ঝোড়ো হাওয়া

সূর্যোদয়- সকাল ৫টা বেজে ২২ মিনিট 

সূর্যাস্ত- বিকেল ৫টা বেজে ৪৩ মিনিট

আরও পড়ুন: West Bengal Mountain Climbers: উৎকণ্ঠার প্রহর কাটল, একদিন পর হিমাচলে খোঁজ মিলল বাংলার চার পর্বতারোহীর

আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি ভোগাবে দিনভর

রাজ্য়ের পশ্চিমের জেলা মুর্শিদাবাদ ২৪ ডিগ্রি ৫০ মিনিট থেকে ২৩ ডিগ্রি ৪৩ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ ডিগ্রি ৪৬ মিনিট পূর্ব থেকে ৮৭ ডিগ্রি ৪৯ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। মোট ৫ হাজার ৩৪১ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থান।

এ দিকে, সামগ্রিক ভাবে জুনের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিহীন থেকেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার ফলে কৃষকাজের উপরেও এই অনাবৃষ্টির প্রভাব পড়েছে। তবে গত কয়েক দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতাও। তাতে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা। তবে এ বছর এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তাতে চাষের কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পর পর কয়েক দিন বৃষ্টি হলেও, জমিতে জল দাঁড়ানোর মতো পরিমাণ ছিল না। তার ফলে সামগ্রিক ভাবে ফসল উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে।