বহরমপুর: ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকেই বেড়েছে তাপমাত্রা। বর্তমানে রোদের তেজে বাড়ির বাইরে বেরনো দায় হয়ে উঠেছে। এ বারের গরমে তীব্র ভোগান্তি রয়েছে বলে আগেই জানিয়েছেন আবহবিদরা। এখনও পর্যন্ত সেই ইঙ্গিতই মিলছে। তবে বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি মেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
শীতের আমেজ ফেব্রুয়ারিতেই মোটামুটি উধাও হয়ে গিয়েছে। গত কয়েক দিনে তাপমাত্রা বেড়েছে ভালই। তবে দাবদাহে গাত্রদহনের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি এখনও। তবে বাড়ির বাইরে পা রাখলে অস্বস্তি বোধ হচ্ছে। রবিবারও সেই রেশই বজায় থাকবে। তবে সন্ধের দিকে বৃষ্টিতে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে। যদিও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি গত কয়েক দিনের তুলনায় বেশিই বোধ হবে।
রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, ঝলমলে পরিষ্কার আকাশ
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলায় আকাশ মূলত মেঘলা থাকবে। কোথাও কোথাও রোদের লুকোচুরি খেলা দেখা যেতে পারে। সকালের দিকে না হলেও, বিকেলের দিকে বা বিকেলের পর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার সকালে মুর্শিদাবাদে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ, বিকেলে ৭০ শতাংশ। সেই সঙ্গে জোরে হাওয়া বইতে পারে জেলার একাধিক জায়গায়। তবে তাপমাত্রা তেমন কমবে না। বরং আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে (District Weather Updates)।
রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশে পাশে থাকতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। রাতের দিকে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে। একই সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি অনুভূত হবে বেলার দিকে। জেলায় সকালে আপেক্ষিক আর্দ্রতার হার থাকবে ৮৫ শতাংশের মতো। রাতের দিকে আপেক্ষিক আর্দ্রতার হার ৯৫ শতাংশের মতোই থাকবে বলে পূর্বাভাস মিলেছে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক মুর্শিদাবাদের আজকের আবহাওয়ার আপডেট-
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা- ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা- ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা-৯৫ শতাংশ
সামগ্রিক আবহাওয়া-বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, আরও চড়বে পারদ
সূর্যোদয়- সকাল ৫টা বেজে ৪৫ মিনিট
সূর্যাস্ত- বিকেল ৫টা বেজে ৪৫ মিনিট
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: বেতন মাত্র কয়েক হাজার, কেষ্টর রাঁধুনির অ্যাকাউন্টে ৬০ লক্ষের লেনদেন!
রাজ্য়ের পশ্চিমের জেলা মুর্শিদাবাদ ২৪ ডিগ্রি ৫০ মিনিট থেকে ২৩ ডিগ্রি ৪৩ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ ডিগ্রি ৪৬ মিনিট পূর্ব থেকে ৮৭ ডিগ্রি ৪৯ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। মোট ৫ হাজার ৩৪১ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থান।
এ দিকে, সামগ্রিক ভাবে জুনের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিহীন থেকেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার ফলে কৃষিকাজের উপরেও এই অনাবৃষ্টির প্রভাব পড়েছে। তবে শীতের প্রাক্কালে, পুজোর ঠিক পর পর ধরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতাও। তাতে আশার আলো দেখেন কৃষকরা। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নতুন করে নিম্নচাপের জেরে চলতি সপ্তাহেও বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কলকাতা-সহ বাংলার বিভিন্ন জেলা।