বহরমপুর: দেরিতে হলেও পর পর কয়েক দিন বৃষ্টিতে বর্ষা ফিরে এসেছে বলেই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু মাঝে ফের বিরতি। তবে জন্মাষ্টমীর দিন থেকে ভিজছে গোটা রাজ্য। শনিবারও তার রেশ বজায় থাকবে। এ দিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়।  তার জেরে কিছুটা কমবে তাপমাত্রাও।  বৃষ্টির পাশাপাশি বিকেলের দিকে ঝড়ও বইতে পারে। শনিবার এমনই থাকবে মুর্শিদাবাদের সামগ্রিক আবহাওয়া (Murshidabad Weather)।

  


ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা মুর্শিদাবাদে


আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার মুর্শিদাবাদ জেলায় দিনভর আকাশ মূলত মেঘলা থাকবে। ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজবে জেলা। সঙ্গে চলবে প্রবল ঝোড়ো হাওয়াও। হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ২৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত। বিকেলের দিকে বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি নামতে পারে। 


শনিবার মুর্শিদাবাদের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। রাতের দিকে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে। এ দিন সকালের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৭০ শতাংশ।  এ দিন সকালের দিকে জেলায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৮১ শতাংশ। রাতে তা বেড়ে ৮৮ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা। 


একনজরে দেখে নেওয়া যাক মুর্শিদাবাদের আজকের আবহাওয়ার আপডেট- 


সর্বোচ্চ তাপমাত্রা- ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা- ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস


বাতাসের আর্দ্রতা- ৮১ শতাংশ


সামগ্রিক আবহাওয়া-  আংশিক মেঘলা আকাশ, তাপমাত্রা বৃদ্ধি


বাতাসের গতিবেগ- ঘণ্টায় ২৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ


সূর্যোদয়ের সময়- ৫টা বেজে ১৩ মিনিট


সূর্যাস্তের সময়-৬টা বেজে ০৬ মিনিট


আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: পার্থর পর এবার অনুব্রতরও খামারবাড়ির হদিশ বোলপুরে? কেয়ারটেকারের বিস্ফোরক দাবি


আকাশ মূলত মেঘলা, প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়া


রাজ্য়ের পশ্চিমের জেলা মুর্শিদাবাদ ২৪ ডিগ্রি ৫০ মিনিট থেকে ২৩ ডিগ্রি ৪৩ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ ডিগ্রি ৪৬ মিনিট পূর্ব থেকে ৮৭ ডিগ্রি ৪৯ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। মোট ৫ হাজার ৩৪১ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থান।


এ দিকে, সামগ্রিক ভাবে জুনের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিহীন থেকেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার ফলে কৃষকাজের উপরেও এই অনাবৃষ্টির প্রভাব পড়েছে। তবে গত কয়েক দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতাও। তাতে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা।