বহরমপুর: মুষলধারা বৃষ্টি না হলেও, আজও বিক্ষিপ্ত এবং হালকা বৃষ্টি হতে পারে মুর্শিদাবাদ জেলায়। সকাল থেকে দাবদাহ ভোগালেও বিকেলের পর একটু হলেও স্বস্তি মিলবে। তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির চেয়ে নীচেই থাকবে। দমকা হাওয়া এবং বজ্র-বিদ্যুতের গর্জন শোনা যেতে পারে। মঙ্গলবার এমনই থাকবে মুর্শিদাবাদের সামগ্রিক আবহাওয়া (Murshidabad Weather)।  


বিকেলে পর হালকা ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা মুর্শিদাবাদে


আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার আংশিক মেঘলা থাকবে মুর্শিদাবাদ জেলায়। দিনভর রোদ ও মেঘের লুকোচুরি চলবে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই যদিও। তবে বিকেলের পর হালকা ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। বিকেলের দিকে জেলার বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ। সঙ্গে দমকা হাওয়া এবং বজ্র-বিদ্যুতের গর্জন শোনা যেতে পারে। হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত।


মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। রাতের দিকে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে। এ দিন জেলায় সকালের দিকে বাতাসে আর্দ্রতার হার ৭৯ শতাংশের আশেপাশে থাকবে।


একনজরে দেখে নেওয়া যাক মুর্শিদাবাদের আজকের আবহাওয়ার আপডেট- 


সর্বোচ্চ তাপমাত্রা- ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা- ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস


বাতাসের আর্দ্রতা- ৭৯ শতাংশ


সামগ্রিক আবহাওয়া-  হালকা ও বিক্ষিপ্ত, বজ্র-বিদ্য়ুতের গর্জন


ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ- ঘণ্টায় প্রায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার সর্বোচ্চ


চন্দ্রোদয়ের সময়- বিকেল ৫টা বেজে ৪২ মিনিট


আরও পড়ুন: Saugata Roy : ‘ওর মতো স্বার্থপর আমলা দেখিনি', জহর সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সৌগত রায়


দমকা হাওয়া সঙ্গে বজ্রবিদ্যুতের গর্জন শোনা যেতে পারে


রাজ্য়ের পশ্চিমের জেলা মুর্শিদাবাদ ২৪ ডিগ্রি ৫০ মিনিট থেকে ২৩ ডিগ্রি ৪৩ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ ডিগ্রি ৪৬ মিনিট পূর্ব থেকে ৮৭ ডিগ্রি ৪৯ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। মোট ৫ হাজার ৩৪১ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থান।


এ দিকে, সামগ্রিক ভাবে জুনের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিহীন থেকেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার ফলে কৃষকাজের উপরেও এই অনাবৃষ্টির প্রভাব পড়েছে। তবে গত কয়েক দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতাও। তাতে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা। তবে এ বছর এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তাতে চাষের কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পর পর কয়েক দিন বৃষ্টি হলেও, জমিতে জল দাঁড়ানোর মতো পরিমাণ ছিল না। তার ফলে সামগ্রিক ভাবে ফসল উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে।