অনির্বাণ বাগচী, মুর্শিদাবাদ: মগরাহাট, নাকাশিপাড়ার পর ডোমকল। ভোট-সন্ত্রাসে ২ দিনে ৩টি খুন। ডোমকলের ১০ নম্বর ঘোড়ামারা এলাকায় মহিলা কংগ্রেস সমর্থককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। 


পরিবারের দাবি, অধীর চৌধুরী সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য শুনলেই প্রতিবাদ করতেন বছর ৬৫-এর মহিলা কংগ্রেস সমর্থক খাতুন বেওয়া। গতকালও একই ঘটনা ঘটে।                                                                                              


অভিযোগ, এরপরই বাঁশ, লাঠি নিয়ে মহিলা কংগ্রেস সমর্থকের ওপর চড়াও হয় তৃণমূলের লোকজন। গুরুতর জখম মহিলাকে ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই আজ ভোররাতে মৃত্যু হয় মহিলা কংগ্রেস সমর্থকের। 


যদিও পুলিশের দাবি, মারামারির ঘটনা ঘটেনি, উনি অসুস্থ ছিলেন।


মুর্শিদাবাদে এই সন্ত্রাস নতুন নয়, পঞ্চায়েত ভোটের দিন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন হাত চিহ্নে ভোট দেবেন বলে। কিন্তু, বোমা, গুলির আঘাতে নিজের হাতই হারাতে হল মুর্শিদাবাদের রানিনগরের কংগ্রেসকর্মীকে। NRS হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে তাঁর হাত বাদ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু, এরপর সংসার চলবে কীকরে, তা ভেবে উদ্বিগ্ন তাঁর পরিবার।


আরও পড়ুন, টাকা উপার্জনের জন্য নয়, মন ভাল রাখতে চপ বিক্রি করে চলেছেন অশীতিপর বৃদ্ধ! মন কেড়েছে নেটিজেনদের


প্রসঙ্গত, ৮ জুলাই, পঞ্চায়েত ভোটের দিন, রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মুর্শিদাবাদের রানিনগর। হেরামপুরের নতুনপাড়া গ্রামে বোমাবাজি হয়, এমনকী গুলিও চলে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ভোট দিতে যাওয়ার পথে কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ্য করে পরপর সকেট বোমা ছোড়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।


হামলায় গুরুতর জখম হন কংগ্রেস কর্মী ইশাক শেখ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে তাঁকে আসা হয় NRS মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু, হাতে পচন ধরায়, বছর পঞ্চান্নর কংগ্রেস কর্মীর বাঁ হাত কনুইয়ের নিচ থেকে বাদ দিতে হল।- তাঁর পরিবারের এখন চিন্তা, সংসারটা চলবে কীকরে!


একদিকে যখন বোমার আঘাতে কংগ্রেসকর্মীর অঙ্গহানির ঘটনা ঘটছে, তখন ভোট মিটলেও মুর্শিদাবাদে বোমা উদ্ধার চলছেই। রবিবারও ফরাক্কার শিবতলা গ্রাম থেকে মিলেছে ৩০টি তাজা বোমা।