পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগে সঙ্গীতশিল্পী উস্তাদ রাশিদ খানের (Ustad Rashid Khan) গাড়ির চালককে আটক (driver detained) করল পুলিশ। থানায় সস্ত্রীক রাশিদ খানের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের (misbehave) অভিযোগ রয়েছে।


উস্তাদ রাশিদ খানের গাড়ির চালককে আটক


সঙ্গীতশিল্পী উস্তাদ রাশিদ খানের গাড়ির চালককে আটক করা হল। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগে আটক করা হয়েছে। থানায় সস্ত্রীক রাশিদ খানের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের দাবি, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্যই আটক করা হয়েছে চালককে। মেডিক্যাল পরীক্ষায় মত্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি পুলিশের।


পুলিশের পাল্টা দাবি রাশিদ খানের স্ত্রী থানায় দুর্ব্যবহার করেন। জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মা জানিয়েছেন, এখনও কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে, জানিয়েছেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম।


মঙ্গলবার রাতেই গোটা ঘটনার সূত্রপাত। শিল্পীর স্ত্রী জয়িতা বসু খানের অভিযোগ, 'গতরাতে অনুষ্ঠান শেষে বাকি শিল্পীদের অন্য শহরে যাওয়ার প্লেন ধরতে হত। বিনয় মিশ্র জি-র প্রথম প্লেন ধরার ছিল। তাঁকে ছাড়তে যাওয়ার সময় বেলেঘাটা-চিংড়িহাটার ওখানে বেশ ট্রাফিক দেখা যায়। অনেক গাড়ি, লরি, টু-হুইলারের পিছনে স্বভাবতই আমাদের গাড়িও আটকে দেওয়া হয়। কিছু টাকা পয়সা চাওয়া হয়। আগের গাড়িগুলি ভালই নগদ গিয়ে দিচ্ছিল। যেহেতু আমাদের ম্যানেজারের কাছে পার্কিং ফি ছাড়া আর টাকা থাকে না তো উনি সেটাই জানান, যে তিনি টাকা দিতে পারবেন না।' শিল্পীর স্ত্রীয়ের অভিযোগ এরপরই হুমকি দেওয়া হয় যে 'হয় পয়সা দে নয়তো ড্রিঙ্ক অ্যান্ড ড্রাইভ কেস দিয়ে দেব।' ড্রাইভারের লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ১৬ ঘণ্টা পরে, এখনও সেই লাইসেন্সের কোনও খোঁজ নেই বলে দাবি শিল্পীর স্ত্রীয়ের। 


আরও পড়ুন: Manik Bhattacharya : 'আমাকে মেরে ফেলো, কিন্তু স্ত্রী-ছেলেকে কিছু কোরো না' লক আপের পথে স্বগোক্তি মানিক ভট্টাচার্যের


অ্যালকোহল ব্লোয়ারে চালকের পরীক্ষা করা হয় বলে দাবি। জয়িতা দেবীর অভিযোগ, এরপর তাঁদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় থানায় এবং ওঁদের গাড়ি অন্য কাউকে দিয়ে চালিয়ে প্রগতি ময়দান পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসা হয়। থানায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত অফিসারও দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। এই সমস্ত ঘটনা ঘটেছে প্রায় রাত ৩-সাড়ে ৩টে নাগাদ। এরপর শিল্পীর স্ত্রী ও ছোট মেয়ে থানায় পৌঁছলে তাঁদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করা হয়। গাড়ির মালিক হিসেবে উস্তাদ রাশিদ খানকেও থানায় ডাকা হয়, কিন্তু তাঁকে থানার বাইরে প্রায় ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় বলে অভিযোগ।