সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, কোন্নগর: ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে রাজ্যের এক পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Worker Death) রহস্যমৃত্যু। খুনের অভিযোগ করেছে পরিবার। হুগলির ( Hooghly) কোন্নগরের বাসিন্দা সুরজিৎ দাস তিন বন্ধুর সঙ্গে জম্মুর বানিহালে কাজের সন্ধানে যান।
পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যমৃত্যু: মায়ের অভিযোগ, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই তরুণের মৃত্যু হয়েছে বলে গতকাল ফোনে জানায় বন্ধুরা। সন্দেহ হওয়ায় ভিডিও কল করেন মা, দাবি পরিবারের। দেহে, মাথায় আঘাত নিয়ে প্রশ্ন করায় বন্ধুরা জানায়, সিঁড়ি থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে। ঠিকাদার সংস্থা তড়িঘড়ি দেহ পাঠিয়ে দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে মৃতের বন্ধুদের বিরুদ্ধে।
সুরজিতের মা সুলতা দাস জানান, সামনে পুজো ছেলেকে বলেছিলেন না যেতে। সুরজিৎ বলেছিলেন কাজ করলে দুটো পয়সা আসবে আবার কাশ্মীর ঘোরাও হবে। প্রায় প্রতিদিনই মায়ের সঙ্গে কথা হত ছেলের। গতকালও কথা হয়। সোমবার দুপুরে সুলতা ছেলের মৃত্যুর খবর পান। ফোন করে সুরজিৎ এর বন্ধু জানায়, হার্টফেল করে মারা গেছে সুরজিৎ। সুস্থ ছেলে কী করে হার্টফেল হল জানতে চাওয়ায় চেঁচামেচি করায় ফোন কেটে দেয়। পরে বন্ধুরা দাবি করেন সুরজিৎ সিঁড়ি থেকে পরে গিয়েছে। ভিডিও কলে ছেলেকে দেখতে চান সুলতা। সেখানেই দেখেন মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। যাঁদের সঙ্গে কাজে গিয়েছিল তাদের কথাবার্তা অসঙ্গতি এবং মাথায় আঘাত দেখে সন্দেহ সুরজিতের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। খুন করা হয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ পরিবারে। জম্মু থেকে মৃতদেহ তড়িঘড়ি পাঠিয়ে দিতে চাইছে ঠিকাদার তাতে সন্দেহ বাড়ছে।
চলতি মাসেই ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) আরও এক পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃত শেখ জামাল সাগরের বাসিন্দা। পরিবারের দাবি, এলাকায় কোনও কাজ না থাকায়, ৯ মাস আগে ঠিকাদারের মাধ্যমে কেরলের থ্যালাসেরিতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে যান বছর ৫১-র ওই ব্যক্তি। এর আগে ২৯ অগাস্ট, গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দরে কাজ করতে গিয়ে ক্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় সাগরের মহেন্দ্রগঞ্জের বাসিন্দা ২১ বছরের সুজিত জানার। এর সপ্তাহ খানেকের মধ্যে কেরলে আরও এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ রাজ্য়ে কাজ না পেয়েই বাইরে যেতে হয়েছিল বলে দাবি করেছিল মৃত শ্রমিকের পরিবার।
আরও পড়ুন: WB Dengue Death: ফের কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তর মৃত্যু