আবির দত্ত, কলকাতা: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর রেশ কাটার আগেই ফের হস্টেলে (Hostel) পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু। এসএসকেএমের (SSKM Hostel Death) হস্টেলে ডাক্তারির ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু। হস্টেলের শৌচাগার থেকে উদ্ধার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ।


ওই নার্সিং ছাত্রী মেডিক্যাল চত্বরেই লিটন হস্টেলে থাকতেন। তাঁকে সকাল থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে আবাসিকদের দাবি। এরপর খোঁজাখুঁজির পরে হস্টেলের শৌচাগার থেকে উদ্ধার করা হয় ওই নার্সিং ছাত্রীকে। তারপর তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ওখানে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের দাবি ওই ছাত্রীকে আংশিক ঝুলন্ত (Partial Hanging) অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। কীভাবে মৃত্যু হল তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। হস্টেলে এসে পৌঁছেছে পুলিশ (Police) আধিকারিক ও কর্মীরা।


হস্টেলের আবাসিকদের সূত্রের খবর, ওই ছাত্রী আচ্ছন্ন অবস্থায় ছিলেন। মানসিক ভাবে কোনও সমস্যা থাকতে পারে বলে তাঁদের একাংশের সন্দেহ। সহপাঠীদের একাংশের দাবি, কোনও সমস্যা থাকতে পারে। সব দিক, সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হস্টেলে ঢুকেছে পুলিশ, আপাতত তদন্ত চলছে।         


পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত ছাত্রীর নাম সুতপা কর্মকার। উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) রায়গঞ্জের বাসিন্দা। লিটন হস্টেলেই থাকতেন দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী। সকালে দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তারপরে হস্টেলের কমন বাথরুম থেকে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় (Stuent Death) উদ্ধার করা হয়। পুলিশ যখন আসে তখন দেখা যায়, ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে হাসপাতাল থেকে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ইতিমধ্যেই গামছা উদ্ধার হয়েছে, নিহত ছাত্রীর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।        


বৃহস্পতিবার সকালে এসএসেকএম থেকে ফোন করে মৃত ছাত্রীর পরিবারকে জানানো হয়, মেয়ে অসুস্থ। তাড়াতাড়ি এসএসকেএমে পৌঁছতে বলা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ অনুমান করছে, সুইসাইড করেছেন ওই ছাত্রী। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রেমঘটিত কোনও কারণে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন পড়ুয়া। সূত্রের খোঁজে তাঁর মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও মেসেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে হস্টেলের অন্যান্য আবাসিকদেরও।  


আরও পড়ুন:  খুনিদের মুক্তাঞ্চল বাংলা, যোগীর মতো লোককে প্রয়োজন, এনকাউন্টার করা উচিত, মাটিগাড়া নিয়ে সুপারিশ শুভেন্দুর