শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: দম্পতির (couple) দেহ (deadbody) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহার (coochbehar) টাকাগাছ এলাকা থেকে। সোমবার সকালের ঘটনা। এখনও পর্যন্ত কোনও সূত্র পায়নি পুলিশ।


কী ঘটেছিল?
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত দম্পতির নাম বিশ্বনাথ চক্রবর্তী ও লক্ষ্মী চক্রবর্তী। দুজনেই পঞ্চাশোর্ধ্ব বলে খবর। হঠাৎ কেন এমন ঘটল, নেপথ্যে কোনও রহস্যজনক কিছু ঘটেছে কিনা তাই নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুন্ডিবাড়ি ও কোতয়ালি থানার পুলিশ। আপাতত দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত দু-দিন থেকে দম্পতিকে বাইরে বেরোতে দেখা যায়নি। এলাকার লোকজনের সন্ধেহ হয়। আজ সকালে বাড়ির সামনে আসতেই দুর্গন্ধ পান তাঁরা। এর পরে দরজা খুলেই দেখতে পান স্ত্রী মৃত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছেন। স্বামীর দেহ ঝুলছে। পুলিশে খবর যায়। পড়শিদের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে, তাঁরা একাই বাড়িতে থাকতেন। ছেলে বাইরে থাকেন। পুলিশ জানিয়েছে  স্ত্রীর মৃতদেহ ঘরের বিছানায় পচা গলা অবস্থায় পড়ে ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। স্থানীয়দের কেউ কেউ জানিয়েছেন মাঝেমধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা চলত।। ঘটনার খবর পেয়ে তাঁদের ছেলে এসেছেন। সঠিক তদন্তেরও দাবি করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত জুনে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় এক গুজরাতি দম্পতির দেহ উদ্ধার ঘিরে তোলপাড় পড়েছিল কলকাতা তথা গোটা রাজ্যে। 


ভবানীপুরের ঘটনা...
জুনের গোড়ায় হরিশ মুখার্জি রোডে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছিল। ভবানীপুরের ফ্ল্যাট থেকে গুজরাতি ব্যবসায়ী দম্পত্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় সে বার। নিহত অশোক-রশ্মিতা শাহের শরীরে ধারাল অস্ত্রের আঘাত ছিল, খবর পুলিশ সূত্রে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে ওই দম্পতির মেয়ে ফোন করে গেলেও ফোন না পেয়ে ছুটে এসে দেখেন বাড়ির মূল ফটক খোলা। দরজার কাছে মায়ের ও একটু ভিতরে বাবার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ভবানীপুর থানায় গিয়ে খবরটি জানান। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছয় ভবানীপুর থানার পুলিশ। গ্রাউন্ড ফ্লোরের ফ্ল্যাট থেকে রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল স্বামী-স্ত্রীর। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুন করা হয়েছে দুজনকে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদেহে একাধিক ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ছোট মেয়ে কাজের সূত্রে আগেই বাইরে বেরিয়েছিলেন। বাড়িতে একা ছিলেন বয়স্ক দম্পতি। পুলিশ সূত্রে খবর, আরেক মেয়ে বারবার ফোন করেও বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। সন্দেহ হওয়ায় সন্ধে ৬ টা নাগাদ বাবার ফ্যাটে চলে আসেন তিনি। সদর দরজা খোলা দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। পুলিশ সূত্রে খবর, দরজা ঠেলতেই ভিতরে স্মিতা শাহের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন মেয়ে। ভিতরে বেডরুমের সামনে পড়েছিল অশোক শাহের মৃতদেহ। 
কোচবিহারের ঘটনায় অবশ্য এখনই এত কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই পুলিশ।