আবীর দত্ত, কলকাতা : অতি সম্প্রতি নাগেরবাজারে বৃদ্ধ খুনের কিনারা করে ফেলল পুলিশ। গ্রেফতার করা হল মৃতের গাড়ি চালক সৌরভ মণ্ডলকে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত শনিবার পাঁচিল টপকে কল্যাণ ভট্টাচার্যর বাড়িতে ঢোকেন বসিরহাটের বাসিন্দা ওই যুবক। বারাসাতের কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে দিঘায়
বেড়াতে যাবেন বলে মালিকের BMW গাড়িটি চান।
এরপর বৃদ্ধ রাজি না হওয়ায় শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ৭২ বছরের ওই বৃদ্ধকে ধাক্কা মারায় তাঁর মাথায় আঘাত লাগে, এরপর শ্বাসরোধ করে খুন করে, ঘর থেকে গ্যারাজ ও গাড়ির চাবি হাতিয়ে, গাড়ি নিয়ে পালান ওই যুবক। দিঘা থেকে ফেরার পথে, যুবকের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকশন দেখে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে নাগেরবাজার থানার পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে বৃদ্ধের বাড়ির একটি ঘর তাঁর পোষ্যটিকে উদ্ধার করা হয়।
বুধবার নাগেরবাজারে নিজের বাগানবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধের পচাগলা দেহ। স্থানীয়রা দাবি করেন, মৃতের নাম কল্যাণ ভট্টাচার্য । স্থানীয়দের দাবি, পোষ্যকে নিয়ে একাই থাকতেন বৃদ্ধ। সব সময় বাইরের গেট থাকত তালাবন্ধ। শনিবার শেষবার বৃদ্ধকে দেখা যায়। রবিবার সন্ধেয় বাড়ির বাইরে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবককে। স্থানীয়রা কারণ জানতে চাইলে জানান, তিনি গাড়ির চালক, গেট খোলা না থাকায় ঢুকতে পারছেন না। পরে, চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে বাড়িতে ঢোকার বিকল্প রাস্তা জানতে চান ওই যুবক। স্থানীয়রা বাড়ির পিছনের গেট দেখিয়ে দেন।
ঠিক কী ঘটেছিল ?
রবিবার সন্ধ্যায় বৃদ্ধের বাগানবাড়ির গেটের সামনে ঘোরাঘুরি করছিলেন এক যুবক। অপরিচিত ওই যুবককে কারণ জিজ্ঞেস করলে জানান, তিনি বাগানবাড়ির মালিকের গাড়ির চালক। অসুস্থ মালিক ফোন করে ডেকেছেন। হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। তারপরের ঘটনা হাড়হিম করে দেওয়ার মতো। বুধবার বাগানবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধের পচাগলা দেহ ! উধাও ছিল তাঁর গাড়ি। খোঁজ ছিল না পোষ্য কুকুর ও চালক পরিচয় দেওয়া সেই যুবকের। তাহলে কি খুন? না কি, ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও ঘটনা?
দানা বাঁধে রহস্য। এরপর পুলিশ বুধবার নাগেরবাজার থানার পুলিশ তালা ভেঙে বৃদ্ধের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন : 'আমার স্ত্রীকে খুন করেছে', চিকিৎসা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ পায়েলের স্বামীর