কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল গঙ্গাপাড়ের দুই শহরে। একের পর এক গার্ডরেল ভাঙেন আন্দোলনকারীরা। নবান্ন অভিযান রুখতে পাল্টা পুলিশ জল কামান, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। করে লাঠিচার্জও। এই অভিযান প্রসঙ্গে এদিন ADG (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার বললেন, 'তাণ্ডব ছাড়া আর কী বিশেষণ ব্যবহার করা যায় জানি না।'
ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল গঙ্গাপাড়ের দুই শহরে: এদিন বাবুঘাটে পুলিশের বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। হাওড়া ব্রিজ, হাওড়া ময়দান, সাঁতরাগাছিতে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে ADG (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার বলেন, "আমাদের কাছে কিছু তথ্য এবং প্রমাণ ছিল সাধারণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে গোলমাল, প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা করবে। যাতে পুলিশ বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য় হয়। আমাদের সেই আশঙ্কা অনেকটাই সত্যি হয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছি। আরও অনেককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। গতকাল রাতে যে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা লাশ ফেলে দেওয়ার কথা বলছিলেন। আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা, গুলি নিয়ে এখানে অশান্তির পরিকল্পনা তাঁদের ছিল। সেই সংক্রান্ত তথ্য প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।''
মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানের আগে হাওড়া ময়দানে বিক্ষোভকারীদের পাল্টা মারে পিছু হটে পুলিশ। ইটবৃষ্টিতে আহত চণ্ডীতলা থানার আইসি। মহাত্মা গান্ধী রোডে লাঠিচার্জে মাথা ফাটে মহিলার। সুপ্রতিম সরকার বলেন, ঠপর্যাপ্ত পুলিশি বন্দোবস্ত ছিল। নবান্ন অভিমুখী রাস্তায় ব্যারিকেড ছিল। সংরক্ষিত এলাকায় জমায়েত বেআইনি। আন্দোলন কেমন শান্তিপূর্ণ থাকল তা আপনারা দেখলেন। পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রসমাজ উই ওয়ান্ট জাস্টিস বলে এলেন। ব্যারিকেড ধরে ঝাঁকানো শুরু করলেন। পুলিশ একাধিকবার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা বলেছেন। তারপরও ব্যারিকেড ভাঙা, গার্ডরেল উল্টোনা, পুলিশের দিকে লাঠি, বোতল বৃষ্টি। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, পুলিশকে রক্তাক্ত করা, গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া। ছাত্র সমাজের আন্দোলনের নামে তাণ্ডব। তাণ্ডব ছাড়া আর কী বিশেষণ ব্যবহার করা যায় জানি না। তাণ্ডবও বোধহয় নরম বিশেষণ। আজকে প্রচুর মানুষে কাজে বেড়িয়েছেন। কর্মব্যস্ত দিন। পুলিশ কোনও ফাঁদে পা দেয়নি। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বজায় রাখতে বলপ্রয়োগ করেছে। ১১ থেকে ১২ জন সহকর্মী আহত হয়েছেন। ৯৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমার দেখলাম অশান্তি পূর্ণ আন্দোলন। দুষ্কৃতী আন্দোলন বলা যেতে পারে। যা করলেন তার নিন্দার ভাষা নেই। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্য়বস্থা নেওয়া। ছাত্র সমাজের নামে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। প্রকৃত ছাত্রসমাজ এই অসভ্যতামি করবে বলে মনে হয় না। নেপথ্য কোনও শক্তির ইন্ধনে এই অশান্তির ঘটনা ঘটল।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Weather Update: ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা, বঙ্গের আকাশে দুর্যোগের ভ্রুকুটি