কলকাতা: নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি হাওড়ায়। পশ্চিমবঙ্গ 'ছাত্র সমাজে'র মিছিল ঘিরে তুলকালাম। হাওড়ার মল্লিক ফটক বাজারে এদিন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কার্যত ধুন্ধুমার বেধে যায় পুলিশ এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে। সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ইটবৃষ্টি চলে। তাতে আহত হন চণ্ডীতলার আইসি সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায়। ইঁটের আঘাতে মাথা ফেটে যায় তাঁর। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। (Nabanna Abhijan)


নবান্নমুখী মিছিল ঘিরে হাওড়া ব্রিজে গোড়াতেই তুলকালাম বাধে। সেখানে জলকামান দাগার পাশাপাশি, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতে হয় পুলিশকে। হাওড়া ময়দান থেকে নবান্নমুখী মিছিল মল্লিক ফটকে পৌঁছলে, সেখানেও তুলকালাম বাধে। পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ইঁটবৃষ্টি হয়। আটকাতে গেলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। সেই সময় আহত হন চণ্ডীতলার আইসি সন্দীপ। ইঁটের আঘাতে মাথা ফেটে যায় তাঁর। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। (Howrah Nabanna Rally) আন্দোলনকারীদের কয়েকজনও তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে সাহায্য করেন।


শুধু ইঁটই নয়, জিটি রোডের ধারে যা পড়ে থাকতে দেখেন আন্দোলনকারীরা, পুলিশকে লক্ষ্য করে তা ছোড়া হয়। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এই নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় পশ্চিমবঙ্গ 'ছাত্র সমাজ'। শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন চলবে বলেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু সকাল থেকেই এই আন্দোলন ঘিরে অশান্তি মাথাচাড়া দেয় বিভিন্ন জায়গায়। সেই আবহেই হাওড়ায় রক্ত ঝরে পুলিশের।


আন্দোলন ঠেকাতে জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয়েছিল আগে থেকেই। এদিন সেই ব্যারিকেড ভেঙে ফেলা হয় একাধিক জায়গায়। ব্যারিকেড টপকে এগোতে থাকে মিছিল। হাওড়ায় জিটি রোডে আজ এক জায়গায় জমা হতে দেখা যায় পুলিশকে। ব্যারিকেড টপকে ছুটে আসা ভিড়কে আটকাতে ছুটে যেতে দেখা যায় পুলিশকে। এর পাল্টা, পুলিশকে লক্ষ্য় করে ইঁটবৃষ্টি হয়। বাঁশের টুকরো, ইঁটের টুকরো পড়ে থাকতে দেখা যায় রাস্তায়। 


এমনকি রাস্তায় যে গার্ডরেল ছিল, তা-ও জায়গায় জায়গায় উল্টে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতেও দেখা যায় পুলিশকে। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা আটকাতে দাগা হয় জলকামানও। তাতে কিছুক্ষণের জন্য আন্দোলনকারীরা পিছু হটলেও, আবারও ইঁট হাতে চড়াও হন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের মধ্য়ে কয়েক জনকে পুলিশ ভ্য়ানেও তোলা হয়। কিন্তু অশান্তি থামেনি। বরং জিটি রোডে বাধা পেয়ে ফোরশোর রোডে গার্ডরেল, ব্যারিকেড ভাঙতে এগিয়ে আসেন আন্দোলনকারীরা। সেখানেও তুলকালাম বাঁধে।