কলকাতা: এগরা, ইংরেজবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর সর্তক প্রশাসন। মঙ্গলবার নবান্নে (Nabanna) ৭০ জন বাজি ব্যবসায়ীকে নিয়ে বৈঠকে বসলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। কলকাতা ও শিলিগুড়িতে দুটি বাজি হাব তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় ১৫ জন ব্যবসায়ীকে নিয়ে তৈরি হবে বাজি ক্লাস্টার। তার জন্য ৬ কাঠা জমির ব্যবস্থা করবে সরকার। জমির দাম হবে ১কোটি ২০ লক্ষ টাকা। ১০ শতাংশ অর্থ দিতে হবে মালিককে। বাকি টাকা দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তরফে।
কী ঘটেছিল?
গত মাসে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রাম। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, পুকুরের পাশেই একটি বাড়িতে ছিল ২ টি ঘর। সেখানেই ছিল বেআইনি বাজি কারখানা। এই বাড়ির একটি ঘরেই বিস্ফোরণ হয়। দেহ ছিটকে গিয়ে পড়ে পুকুরে। ২ টি পুকুরেই দেহের খোঁজে চলে তল্লাশি। বিস্ফোরণে উড়ে যায় গোটা বাড়ি। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় গোটা এলাকা। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, শুধু কাঠামোটুকু ছাড়া সেই বাড়িতে অবশিষ্ট নেই আর কিছুই। এগরার ঘটনার দিনকয়েক পরেই মালদার ইংরেজবাজারে বাজির দোকানে আগুন লাগে। তাতে মৃত্যু হয় দুজনের। পুরসভার নাকের ডগায় পুর বাজারের মধ্যে বাজির দোকান। ভয়াবহ আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় ২ জনের। দোকানের শাটার ভেঙে একজনের দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। গুরুতর জখম আরেকজনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে। আগুন নেভাতে গিয়ে ধোঁয়ায় অসুস্থ পড়েন এক দমকল কর্মীও। ইংরেজবাজারে পুর-বাজারে ওই দোকানে প্রচুর বাজি মজুত করা ছিল। একের পর এক বিস্ফোরণ হয়। পাশের আরও ৪টি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগেও ক্লাস্টার তৈরির কথা জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। এগরায় নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে তিনি জানান, বেআইনি বাজি কারখানা রুখতে ক্লাস্টার তৈরি করা হবে। জনবসতি থেকে দূরে তৈরি হবে গ্রিন ক্র্যাকার ক্লাস্টার। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ' গ্রিন ক্র্যাকার, যা মানুষের কাজে লাগে, অথচ জীবনে ক্ষতিকারক নয়, সেই রকম ধরনের আমরা ক্লাস্টার, যেখানে যেখানে বাজি কারখানা আছে, সেখান থেকে জনগণ সম্বলিত এলাকা, তার থেকে একটু দূরে আমরা করে দেব। '
আরও পড়ুন: Food Tips: পাতে কোন পেয়ারা? কাঁচা না কি পাকা? কোনটায় বেশি উপকার?