গাংনাপুর : নদিয়ার (Nadia) গাংনাপুরে গৃহবধূকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় হাইকোর্টের (High Court) নির্দেশের পর তৎপর পুলিশ। গ্রেফতার এফআইআরে নাম থাকা ৬ অভিযুক্ত। এখনও অধরা মূল ষড়যন্ত্রী তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। তৃণমূল নেতার উপস্থিতিতেই গোটা ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের।
অভিযোগ, গত ৬ মার্চ ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়। প্রমাণ লোপাটে নির্যাতিতাকে খাওয়ানো হয় কীটনাশক। ৮ দিন পর হাসপাতালে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর না নেওয়ার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে যায় নির্যাতিতার পরিবার। গৃহবধূর দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় রানাঘাট মহকুমা আদালত।
আরও পড়ুন ; নামখানা গণধর্ষণের তদন্তভারও দময়ন্তীকেই, সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের
একের পর এক নারী নির্যাতনের অভিযোগে তোলপাড় রাজ্যের নানা প্রান্ত। নদিয়ার হাঁসখালিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। এরই মধ্যে এই জেলারই গাংনাপুরে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে শোরগোল পড়ে যায়। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলে নির্যাতিতার পরিবার। এফআইআর না নেওয়ার অভিযোগ তুলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থও হয় তারা। গৃহবধূর দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় রানাঘাট মহকুমা আদালত।
সম্প্রতি হাঁসখালির ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য। জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে মাদক খাইয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলেকে। নির্যাতিতার পরিবার দাবি করে, ওই যুবকের (মূল অভিযুক্ত) আমন্ত্রণে জন্মদিনের পার্টিতে তাদের বাড়িতে গিয়েছিল নাবালিকা। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
পরিবারের দাবি, এরপর এক অপরিচিত মহিলা নাবালিকাকে বাড়িতে দিয়ে যায়। ঘটনার বেশ কিছু দিন পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় বলে তথ্য সামনে আসে। পাশাপাশি নাবালিকার মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তের আগেই ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মতোও মারাত্মক অভিযোগ ওঠে। যে ঘটনায় গ্রেফতার হয় স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে। এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। জানানো হয়, আদালতের পর্যবেক্ষণে এই তদন্ত চলবে।