সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: আচমকা মারধরের শিকার কর্তব্যরত এক সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer)। নদিয়ার (Nadia) ঘটনায় চাঞ্চল্য। কারা মারধর করল? কর্তব্যরত ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধরের অভিযোগ উঠল একদল মদ্যপ যুবকের (drunk) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur) থানার বেলেডাঙ্গা মোড় এলাকায়। আহত ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম রতন বিশ্বাস। তাঁর বয়স পঁয়ত্রিশ। বাড়ি শান্তিপুর বাগআঁচড়া।
আহত ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের অভিযোগ, বুধবার অর্থাৎ ২ ফেব্রুয়ারির বিকেলে শান্তিপুর বেলেডাঙ্গা মোড় এলাকায় নিয়মিত ডিউটি করছিলেন তিনি। সেই সময়, একটি গাড়ি সাইড করানো নিয়ে স্থানীয় কিছু মদ্যপ যুবকের সঙ্গে বচসা সৃষ্টি হয়। এর কিছুক্ষণ পর আরও বেশ কয়েকজন যুবকদের নিয়ে আসে তারা। এরাও সকলে মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে দাবি ওই আহত সিভিক ভলান্টিয়ারের। এই যুবকেরা একত্রিত হয়ে কর্তব্যরত অবস্থাতেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর করতে শুরু করে। গণ্ডগোল দেখে গ্রামবাসীরা এসে হাজির হয়। তখন ওই যুবকেরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। আহত সিভিক ভলান্টিয়ারকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। ঘটনায় যে দুই যুবকের বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ উঠেছে সেই সময়ের পর থেকে তারা দুজনেই পলাতক। তবে পুলিশ তাদের খোঁজ চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে রক্ষাকবচ হাইকোর্টের
অন্যদিকে হাওড়ার বালিতে বেপরোয়া গতিতে পালানোর সময় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের তৎপরতায় ধরা পড়ল বাইক চোর। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বালি থানার পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত গতকাল রাতে। পুলিশ সূত্রে খবর, বেপরোয়া গতিতে যাওয়ার সময় এক বাইক আরোহীকে দেখে সন্দেহ হয় সিভিক ভলান্টিয়ার ইমরান আনসারির। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বাইক চালকের কাছে গাড়ির চাবি অথবা নথি কিছুই নেই। অভিযোগ, সেইসময় সিভিক ভলান্টিয়ারকে বাইক বিক্রির টাকার ভাগ দেওয়ার টোপ দেয় বাইক চোর। এরপরই বালি থানায় ফোন করেন সিভিক ভলান্টিয়ার। ঘটনাচক্রে সেইসময় থানায় হাজির হন বাইকের মালিক। বাইক চুরির পিছনে বড়সড় কোনও চক্র রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।