নয়াদিল্লি: ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিনের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে চিন সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সেনা জওয়ানদের মৃত্যুর যে সংখ্যার কথা জানানো হয়েছিল, আসলে তার চেয়ে মৃতের সংখ্যা ৯ গুণ বেশি। এমনই দাবি অস্ট্রেলিয়ার একটি তদন্তমূলক সংবাদপত্রের।


২০২০ সালের ২০ জুন গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে জড়ান ভারত ও চিনের সেনা জওয়ানরা। এরপর ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। প্রথমে চিনের পক্ষ থেকে তাদের সেনা জওয়ানের মৃত্যুর সংখ্যার বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। সংঘর্ষের আট মাস পরে ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে চিন সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, চারজন সেনা জওয়ান গালওয়ানে সংঘর্ষে প্রাণ হারান। এই চার সেনা জওয়ানকে মরণোত্তর পদক দেওয়া হয়। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার সংবাদপত্রটির দাবি, ‘গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষের পর সেই রাতেই অন্ধকারে খরস্রোতা নদী পেরোতে গিয়ে জলে ডুবে চিনের বেশ কয়েকজন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়। নতুন গবেষণায় এমনই দাবি করা হচ্ছে। বেজিংয়ের পক্ষ থেকে গালওয়ান উপত্যকায় সেনা সংঘর্ষের বিষয়ে নীরবতা অবলম্বন করা হচ্ছে।’


অস্ট্রেলিয়ার সংবাদপত্রটিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে যাঁরা গবেষণা করছেন, তাঁরাই গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষ নিয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করেছেন। ঠিক কী ঘটেছিল, কী কারণে সংঘর্ষে বেঁধে গেল, বেজিং কী কী তথ্য গোপন করছে, সে বিষয়ে এই রিপোর্টে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। চিনের নিজস্ব মাইক্রো ব্লগিং সোশ্যাল মিডিয়া উইবো ব্যবহারকারী এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি গালওয়ানে সংঘর্ষের সময় ওই অঞ্চলে ছিলেন। তিনি জানতে পারেন, চিনের সেনাবাহিনী গালওয়ানে বাফার জোনে পরিকাঠামো তৈরির কাজ চালাচ্ছিল। ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি রয়েছে, সেটা লঙ্ঘন করেই এই কাজ চালাচ্ছিল চিনা সেনা। এরপরেই ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সেই সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর তৈরি একটি সেতু পেরোতে গিয়ে জলে ডুবে চিনের বেশ কয়েকজন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়।’