প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তে কৃষ্ণনগরে গেল সিবিআই। ১৪ জুন, ভোরবেলা খুন হন কৃষ্ণনগরের বারুইহুদা মণীন্দ্র পল্লির বাসিন্দা পলাশ মণ্ডল। অভিযোগ, বাড়ি থেকে কোপাতে কোপাতে বাইরে নিয়ে গিয়ে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা।


খুনের তদন্তে আজ নিহতের বাড়িতে যান সিবিআই অফিসাররা। সিবিআইয়ের দাবি, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনার তদন্তে যোগ হয়েছে এই মৃত্যুর মামলা। সিবিআই সূত্রে খবর, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে ৪১টি মামলার উল্লেখ ছিল। তার মধ্যে ২৯টি খুন ও ১২টি নারী নির্যাতনের মামলা। সিবিআই সূত্রে খবর, এ ছাড়াও আরও ৩৬টি অভিযোগ তারা চিহ্নিত করেছে, যা খতিয়ে দেখে তদন্তকারীদের মনে হয়েছে এই সমস্ত ক্ষেত্রে খুনের অভিযোগকে অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 


গতকাল কাঁকুড়গাছিতে মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। সামনেই কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার দুই অফিসারকে চিহ্নিত করে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদা। এ দিন কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল। 


বুধবার সিবিআইয়ের কাছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার দুই আধিকারিককে চিহ্নিত করে, সাদা কাগজে সই করার জন্য তাঁদের ওপর চাপ সৃষ্টির অভিযোগ তোলেন নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা। প্রমাণস্বরূপ একটি ভিডিও-ও CBI-এর হাতে তুলে দিয়েছে নিহতের পরিবার। 


এরপর বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার ওই দুই আধিকারিক তাঁদের বাড়িতে গেলে, আপত্তি জানান নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা। শেষ পর্যন্ত ফিরে যান কলকাতা পুলিশের ওই দুই আধিকারিক। বাংলায় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগে এ পর্যন্ত ৯টি মামলা রুজু করেছে সিবিআই। 


নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা বিশ্বজিত্‍ সরকার জানান, এই দু’জন বাড়িতে আসে। সাদা কাগজে সই করানোর জন্য চাপ দেয়। এর চেয়ে বড় কালপ্রিট ওসি নারকেলডাঙা। তাঁকে দেখতে পেলাম না। হয়ত পরবর্তীকালে দেখতে পাব।