হাঁসখালি : হাঁসখালিকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই (CBI)। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলের বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকল সিএফএসএল (CFSL)। এদিকে নির্যাতিতার বাড়িতে সিবিআই তদন্ত চলাকালীন হঠাৎ লোডশেডিং হয়ে যায়। অসুবিধেয় পড়েন তদন্তকারীরা। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে গ্রাম। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা যখন তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছে, ঠিক তখনই লোডশেডিং হয়ে যায়। সমস্যার মধ্যে টর্চ জ্বেলে চলে কাজ। 


কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে CBI হাঁসখালিকাণ্ডের তদন্তভার নেওয়ার পরে, গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় FIR দায়ের করেছে তারা। FIR-এ নাম রয়েছে শুধুমাত্র তৃণমূল নেতার ছেলে তথা মূল অভিযক্তর।


বুধবার রাতেই হাঁসখালি থানায় গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে সিবিআইয়ের ৩ সদস্যের দল। CBI সূত্রের খবর, পুলিশের কাছ থেকে কেস ডায়েরি-সহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়। প্রায় ৪ ঘণ্টা হাঁসখালি থানায় ছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। 


এরপর আজ বিকেলে সিবিআইয়ের অফিসাররা CFSL-এর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পৌঁছন মৃতার বাড়িতে। ৪ এপ্রিল রাতে নিজের বাড়িতে যে ঘরে নাবালিকাকে রাখা হয়েছিল, সেই ঘরে ঢুকে নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। সেখান থেকেই সিবিআই ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল চলে আসে অভিযুক্তর বাড়িতে। যেখানে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, সেই ঘরের দরজার তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা।


ঠিক ওই একই সময়ে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের অপর দলটি নাবালিকার ঘরে নমুনা সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যায়। বিকেলে এসে প্রথমে মায়ের সঙ্গে কথা বলেন গোয়েন্দারা। পরে বাবাকে ডেকে পাঠায়। এর পরে আশপাশের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়।  


নির্যাতিতাকে কোন জায়গায় একাংশ গ্রামবাসী রেখে গিয়েছিল, সেই সময় তার মা কোথায় ছিল-সমস্ত ঘটনা বোঝার চেষ্টা করেন গোয়েন্দারা। এর পাশাপাশি রাস্তার ভিডিওগ্রাফি করা হয়। ছবি তোলেন। সেই সময়ই বিদ্যুই বিভ্রাট দেখা দেয়। এমনকী মোবাইল পরিষেবাও ব্যাহত হয়ে যায় বলে জানা যায়। নেটওয়ার্ক মেলেনি। 


লোডশেডিংয়ের জেরে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে অভিযুক্তের বাড়িও। অন্ধকারের মধ্যে তল্লাশি অভিযান চালান সিবিআই আধিকারিকরা। তবে, বিদ্যুৎ যতক্ষণ ছিল, তার মধ্যে অনেকটা নমুনা সংগ্রহ করে ফেলে সিএফএসএল। অন্যকারের মধ্যে নমুনা সংগ্রহে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় গোয়েন্দাদের। তারই মধ্যে টর্চ জ্বালিয়ে চলে কাজ। অভিযুক্তের বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকতে পারে বলে খবর পাওয়ার পর সেবিষয়েও তারা তল্লাশি চালায়।