সুজিত মণ্ডল, শান্তিপুর: কুল গাছে ঢিল ছোড়া নিয়ে বচসার জেরে প্রতিবেশীদের হাতে আক্রান্ত হলেন দুই গৃহবধূ ও এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার পাঁচপোতা গ্রামে।


আক্রান্তদের অভিযোগ, ওই গ্রামের বাসিন্দা আকবর শেখ নামে এক ব্যক্তির বাড়ির কুল গাছে প্রতিদিনই প্রতিবেশী বেশ কয়েকজন বাড়ির বাইরে থেকে ঢিল ছোড়েন। বেশ কয়েকবার তাঁদের ছোড়া ঢিল ওই পরিবারের সদস্যদের গায়েও লাগে। এই নিয়ে একাধিকবার নিষেধও করা হয় ওই পরিবারের পক্ষ থেকে। কিন্তু তারপরেও গতকাল রাত আটটা নাগাদ ফের কয়েকজন কুল গাছে ঢিল ছোড়ে। এই নিয়ে প্রতিবাদ করলে, প্রতিবেশী বেশ কয়েকজন আকবর শেখের বাড়িতে চড়াও হন এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মারধর করেন। এর জেরে ওই পরিবারের দুই মহিলা ও এক ব্যক্তির মাথায় এবং হাতে চোট লাগে।


আহতদের শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। রাতেই শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। এই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।


অন্যদিকে, শান্তিপুরে এবার গঙ্গাপাড়ে ফাটল-আতঙ্ক। সম্প্রতি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের স্টিমারঘাট ও গবারচরা এলাকায় গঙ্গার পাড়ে ফাটল দেখা যায়। ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে এলাকার বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক বেশ কয়েকবার এলাকা পরিদর্শন করে গেলেও কোনও সুরাহা হয়নি।


মঙ্গলবারও এলাকা পরিদর্শনে যান শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। তাঁর দাবি, ‘শীতের সময় এ ধরনের ফাটল ধরে। সেচ দফতরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’


বিজেপির কটাক্ষ, ‘সামনেই পুরসভা নির্বাচন। তার আগে বিধায়ক সহানুভূতি পাওয়ার জন্য বারবার করে আসছেন। আদৌ কোনও কাজের কাজ হচ্ছে না। বিধায়ক আসছেন আর গঙ্গার হাওয়া খেয়ে চলে যাচ্ছেন। অথচ চাইলেই তিনি সমাধান করে দিতে পারেন।’


রাজ্যের যে পুরসভাগুলিতে ভোট বাকি, সেই তালিকায় রয়েছে শান্তিপুরও। ২০১৫ সালের পুরভোটে এখানে ২৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২টি আসনে জেতে তৃণমূল এবং একটি করে আসন পায় সিপিএম ও নির্দল। পরে নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন।


এই পরিস্থিতিতে ভোটমুখী শান্তিপুরে বাসিন্দাদের অভিযোগকে হাতিয়ার করে, পুরভোটের আগে সুর চড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির।