সুজিত মণ্ডল, রানাঘাট: জনবহুল এলাকায় একটি কাপড়ের গোডাউনে ভয়াবহ আগুন। আগুনে প্রায় ১০টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রাণাঘাট সুভাষ অ্যাভিনিউয়ে।


আজ রাণাঘাট পৌরসভা মার্কেট লাগোয়া একটি কাপড়ের দোকানের প্রথমে আগুন লাগে। তারপর পাশাপাশি অন্যান্য দোকানগুলিতেও আগুন ছড়িয়ে যায়। ঘটনাস্থলে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। তবে ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।


স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ বেলা বারোটা নাগাদ বন্ধ ওই কাপড়ের গোডাউনের বাইরে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন সেখানে থাকা লোকজন। প্রথমে পৌরসভার কর্মীরা এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। পরে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। দমকলের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।


এর আগে বর্ষবরণের রাতে হাওড়ার বাকসাড়ায় মনিহারি সামগ্রীর গুদামে ভয়াবহ আগুন লাগে। ভস্মীভূত হয়ে যায় গুদামটি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ১২টা নাগাদ বাকসাড়ার বাঁশতলা মোড়ে ওই বাড়িতে আগুন লেগে যায়। দোতলায় ফাইবারের ছাউনি দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। আগুনের গ্রাসে চলে যায় মনিহারী জিনিসের গুদাম। দমকলের চারটি ইঞ্জিনের সাহায্যে ৯ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আতসবাজির ফুলকি ছিটকে এসে পড়ায় আগুন লাগে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। 


বছরের প্রথম দিনও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। কৈখালিতে রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। পাশের গেঞ্জি কারখানাতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ১ জানুয়ারি সকাল ১১টা নাগাদ বিমানবন্দরের পাঁচিল লাগোয়া রাসায়নিকের গুদামে লাগে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ১৮টি ইঞ্জিন। দমকলের দাবি, দুটি কারখানারই অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না। দু’টি কারখানার মধ্যে জায়গা ছাড়াতেও মানা হয়নি নিয়ম। বিমানবন্দরের পাঁচিল লাগোয়া কারখানা দু’টি বেআইনিভাবে চলছিল বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান দমকলের। ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও স্থানীয় বিধায়ক অদিতি মুন্সী।