সুজিত মণ্ডল, শান্তিপুর(নদিয়া) : কেন্দ্র ও রাজ্যের সংঘাত নয়। স্থায়ীভাবে ভাগীরথীর পাড় বাঁধাইয়ের দাবি নদিয়ার শান্তিপুরের বাসিন্দাদের।


ভাগীরথীর ভাঙনের সমস্যা শান্তিপুরের মানুষের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শান্তিপুর পুরসভার একটি ওয়ার্ড ছাড়াও, শান্তিপুর ব্লকের গ্রামীণ একাধিক এলাকা সম্প্রতি একাধিকবার ভাঙনের কবলে পড়েছে। ভাগীরথীর গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বসতবাড়ি। সঙ্গে বিঘার পর বিঘা কৃষিজমিও। ভাগীরথীর ভাঙনরোধে সেচ দফতর কিছু প্রাথমিক কাজ করলেও, তাতে সুরাহা হয়নি। অনেক জায়গায় নদী ক্রমশ ভেঙে জনবসতির দিকে এগিয়ে আসায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ভাগীরথীর পাড় সংলগ্ন বাসিন্দারা। ভাগীরথীর পাড় ভাঙনের কবলে শান্তিপুরের জলপ্রকল্পটিও।


ভাঙন রোধ ও স্থায়ীভাবে পাড় বাঁধাই নিয়ে গত ৯ ডিসেম্বর নদিয়ার কৃষ্ণনগরে প্রশাসনিক বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশেষভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রস্তাব পেশ করেন শান্তিপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পেশ করেই ক্ষান্ত থাকেননি বিধায়ক, শান্তিপুর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভাঙন কবলিত এলাকায় নতুন করে পরিদর্শনে আসেন এবং এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। বিধায়ক জানান, খুব শীঘ্রই ভাঙন প্রতিরোধের কাজ শুরু হবে। সেই কারণে আগামী দু-একদিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতিনিধিরা সরজমিনে খতিয়ে দেখবেন।


নতুন করে বিধায়ক ভাঙন কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে আসায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি এলাকাবাসী। তবে তাঁদের দাবি, আমরা কেন্দ্র বা রাজ্য বুঝি না। আমরা চাই, স্থায়ীভাবে নদীর পাড় বাঁধাই হোক।


অন্যদিকে নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে ভাঙন প্রতিরোধের বিষয়টিকে কেন্দ্রেরই বিষয় বলে সাফ জানিয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের কথার প্রেক্ষিতে বিজেপির রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, গঙ্গা ভাঙন ও গঙ্গার যে কোনও বিষয়ে রাজ্য সরকারের একটা মার্জিন মানি রয়েছে। মার্জিন মানি দিতে পারছেন না বলে এই রকম কথাবার্তা বলছেন। প্রোজেক্ট তৈরি করে সেন্ট্রালে পাঠানোর দায়িত্ব তাঁর। তিনি দায়িত্ব পালন করছেন না। জনগণকে বিপদে ফেলছেন। আর বিভ্রান্ত করছেন, এটা সম্পূর্ণ অনৈতিক। তিনি যদি সত্যি সত্যি মনে করেন 100% এই কাজটা কেন্দ্রের, তাহলে উনি লিখিত আকারে জানাক। আমি তার ব্যবস্থা করে দেব।