ফরিদাবাদ (হরিয়ানা) : এমনিতেই একের পর এক ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মেলায় দেশজুড়ে নতুন করে করোনা আতঙ্ক দানা বাঁধছে। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনেশন বা বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু, টিকাকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সিরিঞ্জের কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে হরিয়ানার(Haryana) ফরিদাবাদে(Faridabad)। যার জেরে দেশজুড়ে টিকাকরণের প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এনসিআর এলাকায় দূষণ বিরোধী অভিযানের অঙ্গ হিসেবে কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। হিন্দুস্তান সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটিডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব নাথ বলেন, সুচ ও সিরিঞ্জ তৈরির কারখানা বন্ধের জেরে সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। যা সারাদেশে স্বাস্থ্য পরিষেবায় প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে COVID-19 টিকা প্রদান কর্মসূচিতে। ফলে, বড়সড় ঘাটতি ও অন্যান্য সম্পর্কিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন ; শঙ্কা বাড়িয়ে দিল্লিতে মিলল দ্বিতীয় ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান
দূষণ-রোধে যে ২২৮টি কারখানাকে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে এই সংস্থাটি। এই কোম্পানি দেশের ৬৬ শতাংশ সিরিঞ্জ সরবরাহ করে। রাজীব নাথ জানিয়েছেন, "এখানে দৈনন্দিন দেড় কোটি সুচ ও ৮০ লক্ষ সিরিঞ্জ উৎপাদন হয়। যা এখন বন্ধ থাকবে। সার্বিকভাবে নিয়মিত ১.২ কোটি সিরিঞ্জের সরবরাহ দেশজুড়ে সম্ভব হবে না।" তবে, তাঁর দাবি, এইচএমডি-র অধিকাংশ প্ল্যান্টই পরিবেশ-বান্ধব পাইপড ন্যাচরাল গ্যাসে(পিএনজি) চলে।
আরও পড়ুন ; মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন দাপট, আজ থেকে মুম্বইয়ে জারি ১৪৪ ধারা
এই পরিস্থিতিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে আবেদন জানিয়েছেন যেন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে সিরিঞ্জ উৎপাদনের অনুমতি দেওয়া হয়। অন্যথা জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এবং কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচিতে সঙ্কট দেখা দেবে।
এদিকে দেশে একের পর এক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্তের হদিশ মিলেই চলেছে। আজই দিল্লিতে নতুন করে আরও এক আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায়। আপাতত তিনি চিকিৎসাধীন।