সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: মদ্যপ অবস্থায় রোগীর চিকিৎসা করা হয় এবং মৃত্যু ঘটে, এমনই অভিযোগ উঠল নদিয়ার (Nadia) একটি হাসপাতালে (Hospital)। গোটা ঘটনাটি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কল্যাণী পৌরসভার ওই এলাকায়। নদিয়ার কল্যাণী জেএনএম হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে অশান্তি। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম নয়ন গোয়ালা । উনিশ বছর বয়সির মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে তরজাও।
কী অভিযোগ?
গত কাল সন্ধ্যেবেলায় কল্যাণী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড-এর মাঝেরচর এলাকার যুবক নয়ন গোয়ালা বাড়ির অ্যাকোয়ারিয়াম পরিষ্কার করতে গিয়ে তার গায়ে অ্যাকোয়ারিয়াম পড়ে যায়। অ্যাকোয়ারিয়ামের কাচ ভেঙে ডান হাতের শিরা কেটে যায়। এরপর গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে নিয়ে আসা হয় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে।
আরও পড়ুন, মাঙ্কিপক্স কি অতিমারি হয়ে উঠছে? কী জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?
পরিবারের দাবি
মৃতের পরিবারের দাবী, হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর অবস্থার অবনতি হচ্ছিল বলে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার তোড়জোড় শুরু হয়। সেই সময় স্থানান্তরের জন্য তৈরি হচ্ছিল কাগজপত্র। সেই সময় হঠাৎ করেই মদ্যপ অবস্থায় কর্তব্যরত একজন চিকিৎসক এসে বলেন, আমি সব করে দেব।
পরিবারের তরফে এও বলা হয় যে ওই চিকিৎসক রোগীর হাতের ব্যান্ডেজ খুলে দেয়। অভিযোগ, এর ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। অবস্থার অবনতিও হতে শুরু করে। এরপর তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। আজ ভোরে মৃত্যু হয় ওই রোগীর।
এই ঘটনার পর হাসপাতালের তরফ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় থাকার যদি প্রমাণ হয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।