নদিয়া: দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারে। শেষ পর্যন্ত তা চরমে পৌঁছয়। ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী। এমনই অভিযোগ উঠেছে। তবে খুনের পর ওই ব্যক্তির খোঁজ মেলেনি। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর থানার গয়েশপুর পঞ্চায়েতের ধারাপাড়া গ্রামে। এদিন জমির পাশ থেকে উদ্ধার হয় মহিলার দেহ। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, মৃত ওই গৃহবধূর নাম বন্দনা মুদি। ঘটনার পর থেকেই পলাতক তাঁর স্বামী মুক্তি মুদি। শুক্রবার সকালে ওই গ্রামের একটি চাষের জমির পাশেই ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় মহিলার দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ বাহিনী। কী কারণে খুন তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত স্বামী মুক্তি মুদি। তার পরিবারের দাবি, মৃতার স্বামী অর্থাৎ মুক্তিই এই কাজ করেছে। মৃতার দাদা চাদু ধারার অভিযোগ, অভিযুক্ত মুক্তি দীর্ঘদিন কোনও কাজকর্ম করত না। ছিল না কোনও আয়ও। বরং অহেতুক তার স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত। এর আগেও একাধিকবার অশান্তির ঘটনা ঘটেছে পরিবারে। কাজেই এই খুনের জন্য মৃতার স্বামীকের দায়ী করছে পরিবার।
বন্ধুকে খুন: গতকালই প্রকাশ্যে এসেছিল আরও এক খুনের ঘটনা। পাথরখাদানে বন্ধুকে নিশংসভাবে খুনের অভিযোগ ওঠে আরও এক বন্ধুর বিরুদ্ধে। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুর্গাপুরের পারুলিয়ার ড্যামপাড়ার ঘটনা। গত বুধবার সন্ধ্যায় এই এলাকা থেকে হাত, পা, বাঁধা এবং গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় এক যুবকের দেহ। জানা যায়, বছর ২০-র ওই যুবকের নাম অনিল ভূঁইয়া। এর পরেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত অনিল ভূুঁইয়ার প্রিয় বন্ধু ছিল আকাশ ভুঁইয়া। বন্ধুত্বের গভীরতা এতটাই ছিল যে, অনিলের হাতে আকাশের নাম আর আকাশের হাতে অনিলের নাম লেখা ট্যাটুও করা ছিল। কিন্তু কী এমন ঘটল যার জেরে খুন বন্ধুকে খুন করতে বাধ্য হলেন ওপর বন্ধু? প্রাথমিক তদন্তে প্রেম ঘটিত কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে, মনে করা হচ্ছে ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই এক বন্ধুকে খুন করেন অন্য বন্ধু।
আরও পড়ুন: Ration Scam: ইডি-র তলবে CGO কমপ্লেক্সে এবার ধৃত TMC নেতা শঙ্কর আঢ্যর পরিবার