সুজিত মণ্ডল, কল্যাণী: কো-অপারেটিভ নির্বাচনের (Co-Operative Election) মনোনয়নপত্র তোলাকে কেন্দ্র করে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Kalyani University) ধুন্ধুমার। তৃণমূল পন্থী শিক্ষাবন্ধু সংগঠনের বিরুদ্ধে মনোনয়ন তুলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ বামপন্থী কর্মচারী সংগঠন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির। পাল্টা সরব হয়েছে তৃণমূলপন্থী শিক্ষাবন্ধু সংগঠনও।


কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে ধুন্ধুমার: বচসা,ধাক্কাধাক্কি,বামপন্থী কর্মচারী সংগঠনের কর্মীকে মাটিতে ফেলে মার। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন ঘিরে জেলায় জেলায় যখন অশান্তির ছবি দেখা যাচ্ছে, তখন সমবায় নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র তোলা নিয়ে কার্যত অশান্তিরই অ্যাকশন রিপ্লে দেখা গেল নদিয়ার কল্যাণীতে। ১৪ জুলাই কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী কর্মচারী, অধ্যাপক ও অধ্যাপিকাদের নিয়ে তৈরি সমবায়ের নির্বাচন রয়েছে। এদিন তারই মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিন ছিল। বামপন্থী সংগঠন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির অভিযোগ, তৃণমূল পন্থী শিক্ষাবনধু সংগঠন বহিরাগতদের ক্য়াম্পাসে জড়ো করে মনোনয়ন তুলতে বাধা দেয়।


বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির সদস্য মনোজ সিংহ বলেন, “আমরা আজকে নমিনেশন তুলতে এসেছিলাম। নমিনেশনের জায়গায় দাঁড়িয়ে গেটে তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।অদ্ভূতভাবে আমরা দেখছি, যারা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সঙ্গে যুক্ত নয়, যারা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের কো-অপারেটিভের সদস্য় নয়, তারা গেট বন্ধ করে বসে আসছে। আমরা নমিনেশন তুলতে পারছি না।’’

পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সঙ্ঘের সম্পাদক সুশান্ত মজুমদার বলেন, “প্রচুর পরিমাণে বহিরাগত ছেলেরা এসে আমাদের নমিনেশন ফর্ম তুলতে বাধা দেওয়া হয়। গেট আটকে রাখা হয়। পশ্চিমবঙ্গে সমবায় দফতর যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সেই বিজ্ঞপ্তিকে অমান্য় করল কিছু বহিরাগত এসে।’’ পাল্টা বামপন্থী কর্মচারী সংগঠনের বিরুদ্ধে অশান্তি করার অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল পন্থী সংগঠন। তৃণমূলপন্থী শিক্ষাবন্ধু সংগঠনের নেতা সন্দীপ বাকুন্ডি বলেন, “আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মনোনয়ন তোলার জন্য় লাইন দিয়েছিলাম। যারা স্থায়ী কর্মচারী আছে তারা। কিন্তু, হঠাৎ করে কিছু বামপন্থী কর্মীবনধুরা এসে ছত্রভঙ্গ করে দেয় আমাদের লাইন এবং আমাদের সরিয়ে দিয়ে তারা লাইনে জোর করে দাঁড়াতে চায়। তার ফলে একটা বাদানুবাদ তৈরি হয়। ধাক্কাধাক্কি হয়েছিল।’’

এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বিশ্ববিদ্য়ালয়ের রেজিস্ট্রারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বামপন্থী কর্মচারী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাংশু রায় বলেন, “আমি দেখছি। আমি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টটা নেব। নিয়ে আমি কথা বলব। আমি আরওর সঙ্গে কথা বলব।’’ মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিনেই যদি এই ছবি হয়, তাহলে সমবায় ভোটের দিন কী হবে, তা ভেবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন অনেকে।

আরও পড়ুন: Food Tips: পাতে কোন পেয়ারা? কাঁচা না কি পাকা? কোনটায় বেশি উপকার?