সুজিত মণ্ডল, নদিয়া : মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে লুঠ সোনার দোকানে। নিরাপত্তীরক্ষীদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁদের বেঁধে ফেলে মারধর ও তারপর দোকানের গ্রিল কেটে ঢুকে সোনার গয়না লুঠপাট (Gold Shop Looted)। নদিয়ার (Nadia) কল্যাণীতে পুজোর মাঝে যে ঘটনায় ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। দোকানের মালিকের অভিযোগ, ৩ লক্ষের বেশি নগদ টাকা ও প্রচুর সোনা-রুপোর গয়না খোওয়া গিয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


কল্যাণী থানার অন্তর্গত কাঠালতলা বাজারের ঘটনা। পুজোর আনন্দে যখন গোটা রাজ্যে উৎসবের মেজাজ। তার মাঝেই ঘটে যায় হাড়হিম করা ঘটা। ভোররাতে আনুমানিক সাত-আটজন দৃষ্কৃতী মুখে বেঁধে এসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। নিরাপত্তারক্ষীদের দাবি, দুষ্কৃতীরা হিন্দি ভাষায় কথা বলেছিল। অতর্কিতে হামলা চালিয়ে একসঙ্গে সামনে এসে পড়ে দুষ্কৃতীরা বাজারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের মাথায় এসে বন্দুক ঠেকিয়ে ধরে।


বন্দুকের নলের সামনে কার্যত অসহায় নিরাপত্তারক্ষীদের বেঁধে মারধর চালানো হয় বলেও অভিযোগ। তারপর গ্রিল কাটারের মতো ধারাল কিছু দিয়ে সোনার দোকানের গ্রিল কেটে ভিতরে ঢুকে দৃষ্কৃতীরা লুঠপাট চালায় বলেই জানা যাচ্ছে। দোকানে থাকা ৩ লক্ষ টাকা নগদ ও বিপুল পরিমাণে সোনা-রুপোর গয়না হাতিয়ে নিয়ে তাঁরা চম্পট দিয়েছে বলেই অভিযোগ দোকানের মালিকপক্ষের। গোটা ঘটনা ঘিরে পুজোর মাঝে বেশ কিছুটা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কল্যাণী থানার পুলিশ (Kalyani Police Station)। 


মহালয়ার আগের দিন সোনারপুরের বরেন্দ্রপাড়ায় সোনার দোকানে লুঠের ঘটনা ঘটেছিল। সোনারপুর থানা থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে সোনার দোকানে লুঠ। দোকান মালিকের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লুঠ। বাইকে করে ২ দুষ্কৃতী আসে, সোনার দোকানের লুঠের পর চম্পট দেয়। ঘটনাস্থলে সোনারপুর থানার পুলিশ। 


সোনার দোকানে একের পর এক চুরি ঘটনায় ইতিমধ্যেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছে রাজ্যের। তার কারণ এখন আর শুধুই চুরিতে আটকে নেই। সোনার দোকানে ইতিমধ্যেই হামলা চালিয়ে পরপর শ্যুটআউটের ঘটনাও ঘটেছে। কিছুদিন আগে ভুগতে হয়েছে কোচবিহারের তুফানগঞ্জের আরও এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে।                                                    


আরও পড়ুন- কোন প্যান্ডেল ঘুরতে করতে হবে কতক্ষণ অপেক্ষা ? সরাসরি খোঁজ দিচ্ছে কলকাতা পুলিশের Q TIME