প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কাজ করেন গ্রাম পঞ্চায়েতে। প্রতিদিনই তাঁদের কাছে জমা পড়ে মহিলাদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতনের অভিযোগ। শিশুকন্যা নিয়েও নানা অভিযোগ আসে তাঁদের কাছে। এবার তাই লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করেই বিশেষ বার্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের শ্যামনগর গ্রামের মিতালি ও দেবাশীষ বিশ্বাস। 



সমাজকে বার্তা দিতেই কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের শ্যামনগর গ্রামে এই আয়োজন। মেয়েকে লক্ষ্মী রূপে পুজো করেই সেই বার্তা দিলেন পঞ্চায়েত অফিসার দম্পতির। আজ কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। কন্যাই সম্পদ সমাজের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে চেয়ে নিজের কন্যাকে লক্ষীরূপে পুজো করলেন এই দম্পতি। ১০ বছরের শিশু কন্যা দেবাদৃতাকে এদিন রীতিমতো লক্ষ্মীরূপে সাজিয়ে ব্রাক্ষ্মণ ডেকে পুজো করলেন পঞ্চায়েত অফিসার পরিবারের লোকজন। 


মঙ্গলবার সন্ধা ৭টা নাগাত নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের শ্যামনগর গ্রামে এমনি এক বাতিক্রমী লক্ষ্মী পুজোর সাক্ষী হল। হিজুলি গ্রাম পঞ্চায়েতে কর্মরত দম্পতির কথায়, দেবাদৃতার জন্মের পর থেকেই যেমন তাঁদের সংসারের শ্রী বৃদ্ধি ঘটে, তেমনই কন্যা সন্তানদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে বার্তা দিতেই এই পুজোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। মঙ্গলবার ঘটা করেই দেবাদৃতাকে লক্ষ্মী রূপে পুজো করে বিশ্বাস পরিবার।


অন্যদিকে, বাঁকুড়ার ছাতনার তুলসা গ্রামে ধানজমি খুঁড়ে ষোল দিনের এক শিশুকন্যার মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, জেরায় ওই শিশুকন্যাকে খুনের কথা স্বীকার নিয়েছে তার বাবা। পরপর দুটি কন্যা সন্তান হওয়ার কারণেই এক মেয়েকে খুনের সিদ্ধান্ত বলে জেরায় জানিয়েছে সে। পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ষোল দিনের মাথায় মা খেয়াল করেন তাঁর দ্বিতীয় কন্যাসন্তান বাড়ি থকে নিখোঁজ। স্বামীর আচরণে সন্দেহ হওয়ায় ছাতনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বামীকে তলব করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, গতকাল জেরায় মহিলার স্বামী জানিয়েছে, প্রথমে শিশুকন্যাকে কুয়োয় ফেলে খুন করে সে। প্রমাণ লোপাটের জন্য বাড়ি থেকে দুকিলোমিটার দূরে একটি ধানজমিতে মৃতদেহ প্লাস্টিকে মুড়ে পুঁতে ফেলে। আজ ওই জমি খুঁড়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।