নদিয়া: হাসপাতালের (Hospital) শৌচালয়ের জানালা দিয়ে এক বিচারাধীন বন্দি পালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি বুধবার দুপুরে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ঘটে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, পলাতক বিচারাধীন বন্দির নাম মইদুল মণ্ডল।


প্রসঙ্গত, বছর ২২-র ওই অভিযুক্তকে কয়েকদিন আগে ডাকাতির মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বুকে ব্যথা নিয়ে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অভিযুক্তের নিরাপত্তার জন্য তিন সশস্ত্র পুলিশ কনস্টেবলকেও নিয়োগ করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বাথরুমের জানালা দিয়ে পালিয়ে যায় বিচারাধীন ওই বন্দি। হাসপাতাল থেকে বিচারাধীন ওই বন্দির পালানোর ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।


অপরদিকে, একই ঘটনার উদাহরণ আজই ঘটেছে খাস কলকাতায়। SSKM-এর কার্জন ওয়ার্ড থেকে পালায় পকসো মামলায় এক বিচারাধীন বন্দি। পাথরপ্রতিমা থানার মামলায় বারুইপুর জেলে বন্দি ছিলেন সূর্যকান্ত মণ্ডল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকে SSKM-এ ভর্তি করা হয়েছিল। জানা যায়, পলাতক ওই বন্দি পকসো মামলায় বিচারাধীন ছিল। এতদিন বারুইপুর জেলে বন্দি ছিল সে। অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয় SSKM-এ।


 হাসপাতাল সূত্রে খবর, আজ ভোরে কার্জন ওয়ার্ড পালান বছর ৪৭-এর ওই বন্দি। হাসপাতাল ও আশেপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কীভাবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সূর্যকান্ত মণ্ডল পালিয়ে গেল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এদিকে মুচিপাড়া থানার পুলিশের জালে কলকাতায় (Kolkata) গা ঢাকা দিয়ে থাকা খুনের মামলায় অভিযুক্ত বিহারের এক যুবক। প্রেমচাঁদ বড়াল স্ট্রিট তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে ট্রানসিট রিমান্ডে নিয়ে বিহার রওনা দিয়েছে পুলিশ।


কলকাতায় গা ঢাকা দিয়েও শেষ রক্ষা হল না। মুচিপাড়া থানার পুলিশের জালে ধরা পড়ে খুনে অভিযুক্ত বিহারের পাটনার বাসিন্দা সানি যাদব। পুলিশ সত্রের খবর, পাটনার একটি রুটে গাড়ি চলাচল নিয়ে ২ গোষ্ঠীর বচসায় গুলি চলে। অভিযুক্ত সানি যাদবের চালানো গুলিতে মৃত্যু হয় বিপক্ষের এক জনের। উল্টোদিক থেকে আসা একটি গুলি লাগে সানি যাদবের পায়ে। পাটনার এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সানিকে। হাসপাতাল থেকেই উধাও হয়ে যায় সে।


 আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ? 


তবে এখানেই শেষ নয়, গতবছর নভেম্বর মাসেও এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল। আসানসোল জেলা হাসপাতাল থেকে পালিয়েছিল বিচারাধীন বন্দি। জেল সূত্রে খবর, চিকেনপক্সে আক্রান্ত হওয়ায় সেবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বন্দি নন্দিল ভিবলোরকে রাখা হয়েছিল বিশেষ সেলে। সেখান থেকেই পালায় ওই বন্দি। খবর পেয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে যান আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা। পুলিশ সূত্রে খবর সেবার আসে,সালানপুরের বাসিন্দা ওই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে পুরুলিয়া ও আসানসোলে একাধিক চুরির অভিযোগ ছিল।