প্রদ্যোৎ সরকার, মায়াপুর: সারা দেশের সঙ্গে সঙ্গে নদিয়ার মায়াপুর ইসকন মন্দিরে আজ নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চলছে জন্মাষ্টমী উৎসব পালন। মথুরা থেকে মায়াপুর, নন্দালয় থেকে নবদ্বীপ উৎসবে ব্যস্ত সব দেবালয়ই। করোনাকালে এই প্রথম দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। যদিও কোভিড বিধি মেনেই উৎসব পালিত হচ্ছে, এমনটাই বলা হয়েছে।
ভাদ্র মাসের কৃষ্ণা অষ্টমীতে মথুরার কারাগারে জন্ম নিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ ৷ সেই উপলক্ষে গোটা দেশে আজ পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী৷ করোনা আবহে উত্সবের রং কিছুটা ফিকে। তবে মথুরা, বৃন্দাবনে দিনটিকে সাড়ম্বরে পালন করা হচ্ছে। রয়েছে পুণ্যার্থীদের ভিড়। বিভিন্ন মন্দিরে চলছে আরতি।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে নয়ডার ইসকন মন্দিরে কৃষ্ণ নামে মেতেছেন ভক্তরা। নিয়ম মেনে দূরত্ববিধি বজায় রেখে প্রায় পুরনো মেজাজে জন্মাষ্টমী পালন হচ্ছে মায়াপুরে এমনটাই জানা গিয়েছে। পুষ্পবৃষ্টি দেখার জন্য মূল মন্দিরের বাইরে বসছে জায়েন্ট স্ক্রিন।
তবে কাউকেই মূল মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এ বছর বিদেশি ভক্তদের প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। করোনা দাপট যেহেতু দেশে অব্যাহত রয়েছে সেই আবহে সংক্রমণ রুখতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান হয়েছে। সোমবার রাত থেকেই ইসকনে ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা। তবে মন্দিরে প্রবেশের পথ রাখা রয়েছে একমুখী।
জন্মাষ্টমীর এই উৎসবকে দেশের নানা প্রান্তে শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিনী এবং শ্রীকৃষ্ণ জয়ন্তী নামেও উদযাপন করা হয়। জন্মাষ্টমীর শুভ তিথিতে ভক্তরা দিনটা বিভিন্নভাবে পালন করেন। বিশেষত বৃন্দাবন ও মথুরাতে এই দিনটি বিশেষভাবে পালিত হয়। দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাহুল গান্ধী।
এদিন গোপালের পুজো করার সঙ্গে সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণের জীবনের নানা ঘটনার কথা শোনানো হয়। পাশাপাশি গীতাপাঠও করা হয়ে থাকে। মহারাষ্ট্রে জন্মাষ্টমীতে 'দহি হান্ডি' উদযাপিত হয় মহা ধুমধাম করে। যেখানে বহু মানুষ একত্রিত হয়ে শ্রীকৃষ্ণের মাখন চুরির আদলে দই বা মাখনের হাঁড়ি ভাঙেন।