প্রদ্যোৎ সরকার, রাজীব চৌধুরী, কলকাতা :  কলকাতা শহরে দেখা  মেলেনি কালবৈশাখীর । চাতকের মতো আকাশ পানে চেয়ে শহরবাসী। এদিকে জেলায় বজ্রপাত ও কালবৈশাখীর দাপটে গেল প্রাণ। 



মিনিট ১৫-র ঝড়ে লন্ডভন্ড একের পর এক এলাকা । উড়ে গেল বাড়ির চাল। ভেঙে পড়ল টিনের দেওয়াল । রোজই চাতকের  বাড়ির উপর ভেঙে পড়ল গাছ। ঘরে চাল উড়ে গিয়ে আটকাল বাতিস্তম্ভে । হাওয়ার তাণ্ডবে উপড়ে পড়ল গাছ।  ভাঙল বিদ্যুতের খুঁটি। নদিয়ার করিমপুরে কালবৈশাখীর তাণ্ডব, মৃত ১। 


মুর্শিদাবাদে বজ্রপাতে মৃত্যু 


অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানার ফতেপুরে বজ্রপাতে মৃত্যু হল দুজনের। শুক্রবার দুপুর তিনটে নাগাদ মাঠের মধ্যে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ছিলেন দুই ব্যক্তি । সেই সময়ই  বজ্রাহত হন জাকির হোসেন ও শরিফুল ইসলাম। জাকিরের বয়স মাঝ-কুড়ি আর শরিফুল তো সবেই ১২। সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় ২ জনের।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাঁরা মাঠের কাজের জন্য গিয়েছিলেন।


নদিয়ায় করিমপুরে কালবৈশাখীর তাণ্ডব, মৃত ১


শুক্রবার বিকেলে কালবৈশাখীর ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যপক ক্ষতি হয় নদিয়ার করিমপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার। গাছ চাপা পড়ে মুরুটিয়ায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। মৃতের নাম কৃষ্ণ হালদার। বয়স ৬৪ । তাঁর বাড়ি মুরুটিয়ার ফুলখালি এলাকায়। ঝড়ে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। রাস্তার উপর গাছ পড়ে করিমপুর-শিকারপুর রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে চাষেরও প্রচুর ক্ষতি হয়। 


এদিন বিকেলের পরই করিমপুরের আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। শুরু হয় ঝড়। ততে বিভিন্ন এলাকায় গাছ পড়ে যায়। করিমপুর, শিকারপুর সহ আশেপাশের এলাকায় কলা বাগান, পটলের খেত নষ্ট হয়ে যায়। এরই মধ্যে ঘরের উপর গাছ পড়ে ফুলখালিতে মৃত্যু হয় কৃষ্ণবাবুর। এছাড়াও দুই ব্যক্তি জখম হয়েছেন। ওই এলাকায় কলা চাষের উপর বেশির ভাগ মানুষ নির্ভরশীল। ঝড়ে কলাবাগান পুরো নষ্ট হয়ে গিয়েছে।