প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: নবদ্বীপের চরব্রক্ষ্মনগরে (Nadia News) যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, রবিবার ওই যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সহ চার জন (TMC)। সেই অপমানেই ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি পরিবারের। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল কর্মীকে।


যুবককে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে


মৃতের নাম অমিত দেবনাথ (Nabadwip News)। রবিবার, বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা ওই যুবকের মা। বার বার সংজ্ঞা হারাচ্ছেন তিনি। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। রবিবার রাতে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর করেন তাঁরা। সোমবার সকালে, দোষীদের শাস্তির দাবিতে কৃষ্ণনগর-নবদ্বীপ রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়।


মৃত যুবকের মায়ের অভিযোগ, রবিবার সকালে ফোন করে তাঁর ছেলেকে ডাকেন এলাকার তৃণমূলকর্মী সঞ্জিত সমাদ্দার ওরফে কালু। ডেকে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে প্রতিবেশীদের থেকে শুনে ছেলেকে বাঁচাতে গেলে, তাঁকেও মারধর করেন ওই তৃণমূলকর্মী।


আরও পড়ুন: Malda: চাঁচলে মহানন্দপুর মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে


স্থানীয়দের দাবি, ভুলবশত অভিযুক্ত তৃণমূলকর্মীর পরিবারের এক মহিলাকে মিসড কল করেন অমিত। এর পরই তাঁকে ডেকে তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে বেধড়ক মারধর করা হয়।পরিবার-পরিজনদের দাবি, এরপরেই ঘরে ফিরে অপমানে আত্মঘাতী হয় ওই যুবক।


চরব্রক্ষ্মনগরের বাসিন্দা প্রিয়ঙ্কা দাস বলেন, ‘‘পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে মেরেছে। ও বার বার বলেছে, ভুল করে ফোন চলে গিয়েছে। তার পরও তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে, প্রকাশ্য রাস্তায় সবার সামনে মারধর করা হয় ওকে।’’


এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি-র কৃষ্ণনগর উত্তর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক নবীন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মানসিক অত্যাচার চালিয়ে গত পরশু থেকে মার শুরু করে। আমরা ওই পরিবারের পাশে রয়েছি।’’ তবে নবদ্বীপে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কল্লোল করের যুক্তি, ‘‘কেউ ব্যক্তিগত সমস্যায় জড়িয়ে গেলে, তার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’


ব্যক্তিগত সমস্যার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই, দূরত্ব বাড়াল তৃণমূল


এই ঘটনায় থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত যুবকের পরিবার। এর পরই অভিযুক্ত তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা গেলেও, বাকিরা পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে।