সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: আজ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু তার আগেই পর্দাফাঁস। চার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী-সহ এক ভারতীয় দালালকে গ্রেফতার করল হাঁসখালি থানার পুলিশ। চার বাংলাদেশির মধ্যে একজন মহিলাও আছে।


চার বাংলাদেশী-সহ একজন ভারতীয় দালালকে গ্রেফতার করল নদিয়ার হাঁসখালি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকালে হাঁসখালি থানার পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, কয়েকমাস আগে এই বাংলাদেশি নাগরিকরা ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল। আজ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল, এমনটাই ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে পুলিশ। অবৈধভাবে দালালের মারফত তারা বাংলাদেশের ফেরত যেতে চেয়েছিল বলে জানা যায় এবং সে কথা স্বীকারও করেছেন ওই ভারতীয় দালাল। ধৃতদের আজ পুলিশি হেফাজত চেয়ে রাণাঘাট মহকুমা আদালতে পেশ করে হাঁসখালি থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত চার বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের  নাম জসিম উদ্দিন, বাহারুল শেখ, কুদ্দুস সরদার ও অকলিমা সরদার। ধৃত ভারতীয় দালালের নাম রাজীব বিশ্বাস। বাড়ি হাঁসখালি থানার বগুলা এলাকায়। 


অনুপ্রবেশ নিয়ে সম্প্রতি বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'এখানে গুন্ডা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বর্ডার দিয়ে খুন করছে চলে যাচ্ছে এইরকম লোক পাঠানো হচ্ছে। এটা বিএসএফর অনেক ভিতরকার কাজ। এতে কেন্দ্রীয় সরকারের একটা ব্লু প্রিন্ট আছে।' তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'বাংলার পুলিশ যদি সহযোগিতা না করত, কোনও জঙ্গি ধরা পড়ত না। এই জঙ্গিদের ঢুকিয়েছিল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। বাংলাকে অশান্ত করার জন্য।' আর এবার অনুপ্রবেশের জন্য় কে দায়ী মোদি সরকার, না মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সরকার, তা নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলের লড়াইয়ের মধ্য়েই নতুন তত্ত্ব শোনা গেল কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের গলায়।


আরও পড়ুন, অভয়ার জন্মদিনে আরও দৃঢ় জুনিয়র চিকিৎসকরা, 'পুলিশি তলবে প্রতিবাদ আটকানো যাবে না...' !


তৃণমূল সাংসদ   কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছিলেন,'চার্জে কে? নর্থ-ইস্টের মন্ত্রী কে? সুকান্ত। সুকান্ত মজুমদার। তাহলে সুকান্ত মজুমদার এগুলো করাচ্ছে।  মেঘালয়ের থেকে দিয়ে দিয়ে বর্ডারের থেকে দিয়ে BSF-কে দিয়ে ছাড়িয়ে উনি করাচ্ছেন এগুলো।সমস্ত জঙ্গিদের। জঙ্গি আনছে ওরা।জিতলই তো অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের জন্য। ও জিতলই তো তাই।' পাল্টা উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী ও বিজেপি সাংসদ  সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, 'পাগলে কী না বলে ছাগলে কী না খায়... অনুপ্রবেশ করিয়েছি এবং সেই ভোটে নাকি জিতেছি। ভোটে জিতেছি আগে তারপরে আমি মন্ত্রী হয়েছি। তো ক্রোনোলজি সম্পর্কেও আইডিয়া নেই।'