অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: আজ হাঁসখালি (Hanskhali) যাচ্ছে বিজেপির (BJP) ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি (Fact Finding Committee)। ইতিমধ্যেই রওনা দিয়েছেন তাঁরা।  ৪ সদস্যের দলে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের ধৌরহারা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ রেখা বর্মা, তামিলনাড়ুর বিধায়ক ও বিজেপির মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী বনতি শ্রীনিবাসন, বিজেপি নেত্রী খুশবু সুন্দর এবং মালদার ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। তথ্য অনুসন্ধান কমিটিতে নাম থাকা সত্ত্বেও প্রতিনিধিদলে নেই যোগী আদিত্যনাথ সরকারের শিশুকল্যাণমন্ত্রী বেবিরানি মৌর্য। হাঁসখালি থেকে ফিরে এই কমিটি গণধর্ষণ-খুনের অভিযোগ নিয়ে রিপোর্ট দেবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে।


বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি: বীরভূমের রামপুরহাটের (Rampurhat Update) পর নদিয়ার হাঁসখালি। গণধর্ষণ-খুনের অভিযোগ নিয়ে, ফের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৈরি করেছে বিজেপি। রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল ঘুরে গিয়ে জে পি নাড্ডাকে রিপোর্ট দিয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। বুধবার হাঁসখালিকাণ্ড নিয়েও, বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৈরি করেছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।


রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি: এদিকে, আজ হাঁসখালি রওনা দেওয়ার আগে পশ্চিমবঙ্গে (Westbengal) রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য ও উত্তরপ্রদেশের সাংসদ রেখা বর্মা। তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনার পরেও নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়াননি মুখ্যমন্ত্রী। উন্নাও, হাথরসে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের না যাওয়া প্রসঙ্গে তাঁর জবাব, ওই দুটি ঘটনায় দ্রুত গ্রেফতার করা হয়েছিল মূল অভিযুক্তকে। বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের রিপোর্ট সিবিআই তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে, তৃণমূলের এই দাবিও অস্বীকার করেছেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ। হাঁসখালিকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর বয়ান দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীও। 


এদিকে হাঁসখালি গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় তদন্তভার নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার গ্রামে যান সিবিআই অফিসাররা। তাঁদের কাছে তৃণমূল নেতা ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন গ্রামবাসীরা। সিবিআইকে সামনে পেয়ে, ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে কাতর আবেদন জানান তাঁরা।


আরও পড়ুন: Malda News: ঘুষ নিয়ে বালি, মাটি মাফিয়াকে মদত দিচ্ছেন আইসি! বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক