প্রদ্যুত সরকার, নদিয়া: তার জন্য মাছ ধরতে যাওয়া বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়েছিল। নদীতে নেমে স্নান কিংবা পা ভেজাতেও ভয় পাচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। অবশেষে ধরা পড়ল সেই 'আতঙ্ক'। নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) জলঙ্গি নদী থেকে ধরা পড়ল বিশাল আকৃতির কুমির (Crocodile)। যা আতঙ্কে একদিন থরহরিকম্প ছিলেন সাধারণ মানুষ থেকে স্থানীয় মৎস্যজীবী সকলেই। শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষ ও বন দফতরের প্রচেষ্টায় ধরা পড়ল সেই বিশাল আকার কুমির।


বেশ কিছুদিন ধরে জলঙ্গি নদীর তীরে থাকা বাসিন্দারা জানাচ্ছেন মাঝেমধ্যে তাঁরা নদীতে কুমির দেখতে পাচ্ছিলেন। বেশ কয়েকবার মৎস্যজীবীরাও দেখতে পায় ওই কুমির। স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়। খবর দেওয়া হয় বনদফতরেও। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন এবং বনদফতরকে (Forest Department) খবর দেওয়া হলেও তৎক্ষণাৎ কোনও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ। খবর পেলেও সঙ্গে সঙ্গে বনদফতর কোনওরকম পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের। দিনরাত কুমির আতঙ্ক মৎস্যজীবীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এক স্থানীয় মৎস্যজীবী বলেন, 'গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত নদীতে স্নান করতে পারছিল না। আমরা চাইছিলাম বনদফতর যেন তাড়াতাড়ি কুমির ধরে। অনেকবার দেখা গিয়েছিল কুমিরটাকে।'


অবশেষে বুধবার বিকেলে দীর্ঘ চেষ্টার পরে বনদফতরের উদ্যোগে কৃষ্ণনগর জলঙ্গি নদী থেকে ধরা পড়ল বিশালাকার কুমিরটি। 


বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত নতুন শম্ভুনগর এলাকায় মৎস্যজীবীদের চোখে পড়ে বিশাল আকারের এই কুমিরটি। এরপরে মাঝেমধ্যে জলঙ্গি নদীতে ঘুরতে দেখা যেত কুমিরটিকে। মঙ্গলবার দিন সকালবেলাতেও তাকে দেখা যায় ষষ্ঠীতলা এলাকায় নদীর ঘাটে। বুধবার ঘূর্ণি এলাকার একটি ভাটা থেকে বনদফতরের সহায়তায় ধরা হল সেই কুমিরটিকে।


কুমির আতঙ্ক বলতেই এতদিন চোখের সামনে ভেসে ওঠে সুন্দরবন। সুন্দরবন এলাকায় প্রায়শই কুমিরের হামলার কথা শোনা যায়। কুমিরের আক্রমণে প্রাণহানির ঘটনাও বহু ঘটেছে। কিন্তু বাংলায় উপরের দিকে ইদানিং কুমিরের কথা খুব বেশি শোনা যায়নি। নদিয়ার কৃষ্ণনগরের জলঙ্গির মতো নদীতে কুমির কোথা থেকে এল সেই প্রশ্নও উঠছে। জোয়ার-ভাটার কারণে বা অন্য় কোনও কারণে কি এখানে এসে পৌঁছেছিল কুমিরটি। রয়েছে প্রশ্ন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: কবে শুরু হচ্ছে অ্যামাজনের প্রাইম ডে সেল? ক্রেতাদের জন্য কী কী সুযোগ-সুবিধা থাকছে?